আমাদের ভারত ডেস্ক,১২ এপ্রিল: বেশ কিছু দিন ধরেই সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছিল বাংলাদেশে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে জানিয়ে দিয়েছেন ‘ সরকারি চাকরিতে সব সংরক্ষণ বাতিল করা হল’। তবে আন্দোলন কারিদের এক নেতা প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর বলেছেন, ‘আমরা সব কোটা তুলে দিতে বলিনি। শুধু সংস্কারের কথা বলেছি’।তার দাবি প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার ফলে ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে। এরপরেই ‘ মুক্তি যোদ্ধা সন্তান কম্যান্ড নামে একটি সংগঠন ঘোষণাও করে দিয়েছে সরকারি চাকরিতে নির্ধারিত সংরক্ষণ ফিরিয়ে আনতে তারা এবার আন্দোলনে নামতে চলেছে। সরকারি চাকরিতে ৫৬শতাংশ সংরক্ষণ কমানোর দাবিতে সাধারণ ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করে। তাদের দাবি মুক্তি যোদ্ধাদের পরিবারের জন্য থাকা ৩০ শতাংশ সংরক্ষন কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হোক। রাতে আন্দোলনকারিদের পুলিশ সরিয়ে দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। আহত হয় ১০০ জন ছাত্র। অভিযোগ পুলিশের সঙ্গে শাসকদলের ছাত্র কর্মীরাও একযোগে হামলা চালিয়েছে। এরপরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে হামলা চালায় একদল ছাত্র বলে অভিযোগ। এরপরেই সোমবার থেকে গোটা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বন্ধ হয়ে যায় স্কুল, কলেজ ,বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে ছাত্ররা। বিক্ষোভকারিদের শাসক দলের নেতারা আলোচনা মাধ্যমে বিষয়টি মেটানোর আশ্বাস দিলেও, তাদের দাবি এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসবানী তারা শুনতে চান। এরপরেই দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ সম্পূর্ণ ভাবে বাতিল বলে সংসদে ঘোষণা করেন । প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন সরকার জনজাতি ও প্রতিবন্ধীদের অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করবেন।
Leave a Reply
Be the First to Comment!