আমাদের ভারত, কলকাতা, ১০ জুলাই: সাইবার দুনিয়ায় ছড়িয়েছে নয়া আতঙ্ক। জেহাদি প্রচার সহ নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানে তারা সাহায্য নিচ্ছে ডার্ক ওয়েবের। এমনটাই গোয়েন্দা সূত্রের খবর। এছাড়াও বিভিন্ন অ্যাপস ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ‘প্রটেক্টিভ টেক্সট’ চালাচালি করে জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে, যা পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলির নজরদারির আওতায় সহজে আসে না।
সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবী অচিন্ত্য মন্ডল বলেন, ‘সাইবার দুনিয়াকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। একটি সারফেস ওয়েব যা সবার জন্য উন্মুক্ত অন্যটি ডার্ক ওয়েব। সাধারণ মানুষ যেটা ব্যবহার করেন তা সারফেস ওয়েব। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। এখান থেকে আপনি যেকোন তথ্যই খুঁজে নিতে পারেন। সারফেস ওয়েবের নিচে বা আড়ালে যা থাকে তা হচ্ছে ডিপ ওয়েব বা ডার্ক ওয়েব। যার তথ্য সাধারণ ভাবে জানা সম্ভব নয়। এই ইন্টারনেটের এই অংশে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে। কিন্তু এটির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গিরা অবাধে তথ্য আদান-প্রদান করে।’
তিনি আরও বলেন,‘যেকোন ইলেট্রনিক গ্যাজেট থেকে ডার্ক ওয়েবে ঢুকে কাজ করলে সেখানে ভারচুয়াল লোকেশন তৈরী হয়। যার ফলে কোথা থেকে এটি অপারেট হচ্ছে তা চিহ্নিত করা যায় না। ‘টোর’নামে ব্রাউজারসহ আরও কিছু ব্রাউজার আছে, যেগুলো ইনস্টল করলে ব্যবহারকারি পরিচয় গোপন হয়ে যায়। ডার্ক ওয়েবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাইট রয়েছে। সেখানেই চলে তথ্য আদান-প্রদান ও নির্দেশ দেওয়ার কাজ। এছাড়াও জঙ্গিরা ধরা পড়লে দ্রুত যাতে তথ্য নষ্ট করে দিতে পারে তার সফটওয়ারও তাদের কাছে থাকে।’ গোয়েন্দাদের মতে, টেলিগ্রাম, থ্রিমা অ্যাপস, উইকার অ্যাপস ব্যবহার করে জঙ্গিরা। প্রটেক্টেট টেক্সট নামে একটি সাইটের মাধ্যমেও তারা যোগাযোগ করে থাকে। তবে টেলিগ্রাম তাদের কাছে জনপ্রিয় বেশি।
Leave a Reply