কাজী মাসুম আখতার :
বাদুড়িয়ার ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। কেউ যদি মনে করে থাকে পশ্চিমবঙ্গে কোনভাবে অশান্তি ছড়িয়ে নিজেদের ভালো করবে তাহলে তাদের মতন মূর্খ কেউ নেই। এই সব ঘটনাতে সংখ্যালঘু সমাজের আদর্শের ক্ষতি বহুদিন ধরে হচ্ছে। সেটা কালিয়াচক হোক বা ধুলাগড় বা সদ্য ঘটে চলা উত্তর চব্বিশ পরগণার বাদুড়িয়া হোক, এই ঘটনা বন্ধ হওয়া দরকার, নাহলে নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই ডেকে আনবে। কথায় আছে “পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে” বললেন কাজী মাসুম আখতার। বোধের উদয় খুব জরুরি নাহলে বিপদ আসন্ন। ধর্মান্ধতার অবসান ঘটিয়ে রাজনীতি বন্ধ করে সবকিছুর উর্দ্ধে এসে বাদুরিয়ার মতন ঘটনা বন্ধ হওয়া দরকার আর ভবিষ্যতেও যাতে না হয় সেটার খেয়াল রাখা জরুরি।
সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ভোটের রাজনীতি বন্ধ করে সবাইকে সামাজিক সুরক্ষার কথা ভাবতে হবে আর যারা ধর্মের নাম উস্কানিমূলক মন্তব্য করে চলেছে তাদের সবার আগে গ্রেফতার করা উচিত বলে আমার মনে হয়। তাহলে সমাজে ভারসাম্য বজায় থাকবে। একটা ফেসবুকের পোস্ট নিয়ে এভাবে উত্তেজনা ছড়াতে পারে সেটা আমার ভাবনা চিন্তার বাইরে।আর এর কারণ হল সংখ্যালঘু সমাজে শিক্ষার অভাব। এভাবে অশান্তির সৃষ্টি করে কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না। শুধু দরকার সুস্থ চিন্তার।
“মেটিয়াবুরুজের মাদ্রাসাতে জাতীয় সঙ্গীতের সময় শুরু করে আমি যেভাবে আক্রান্ত হয়েছি সেটা আজও সমানভাবে হয়ে চলেছে।এই বছরে দিল্লীতে তিন তালাকের বিরুদ্ধে মুখ খোলার পর থেকেই আমাকে বারবার হুমকি দিচ্ছে। শুধু আমি নই আমার বাবা মা হাওড়ার আমতা থানার বসন্তপুর গ্রামে থাকে সেখানে পর্যন্ত্য তাঁরা হুমকি শুনছেন।আমার মনে হয় একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে একটা সমাজকে শিক্ষিত করে তোলা আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য।তাই আমাকে বা আমার পরিবারকে হুমকি দিয়ে কোনভাবেই দমন করা যাবে না”।
Leave a Reply
Be the First to Comment!