ভাগ চাষির আক্রমণে জখম মালিক পক্ষের ছয় জন

আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ২২ ফেব্রুয়ারি: জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে জখম হলেন মালিক পক্ষের ছয় জন। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি থানার সোনারকুণ্ডু গ্রামে। আহতদের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, সোনারকুণ্ডু গ্রামের চার ভাই সন্তোষ দে, মানস দে, মৃণাল দে ও পার্বতী দে’দের ৩০ কাঠা চাষযোগ্য জমি রয়েছে। বর্তমানে চারটি পরিবারই নলহাটিতে থাকেন। ফলে জমি গ্রামের তামাল লেটকে চাষ করতে দিয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে তারা ওই জমিতে চাষাবাদ করে আসছিল। কিন্তু মালিক পক্ষকে ফসলের ভাগ দিচ্ছিল না। এনিয়ে মালিক এবং ভাগ চাষির মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এরপর গ্রামের বাসিন্দা বাউটিয়া গ্রামে পঞ্চায়েতের উপ প্রধান কাজল লেট এবং গ্রামবাসীরা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেয় ৮ কাঠা জমি তামাল লেটকে দিতে হবে। গ্রামবাসীদের সিদ্ধান্ত মেনে নেন মালিক পক্ষ। ওই বৈঠকের পরও তামাল লেট সমস্ত জমি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলে। খবর পেয়ে শনিবার সকালে লোকজন নিয়ে গ্রামে যান মালিক পক্ষ। খবর পেয়ে তার আগেই প্রস্তুত ছিল তামাল লেট, ছেলে বৈদ্যনাথ লেট ও তার লোকজন। দে পরিবার জমির কাছে যেতেই লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে তামালরা। তাদের আক্রমণে জখম হন মালিক পক্ষের ছয় জন। তাদের মধ্যে মালিক পক্ষের কর্মচারী বিশু লেট রয়েছেন। তার আঘাত গুরুতর। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে তামালরা।

ভাস্কর দে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে তামালের বাবা আমাদের জমি ভাগে চাষ করত। তার বাবার মৃত্যুর পর তামাল চাষাবাদ শুরু করে। কিন্তু ফসলের কোনও ভাগ দিত না। এনিয়ে গ্রামে বৈঠক করে আট কাঠা জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। সেই মতো আমরা আট কাঠা জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু তামালরা সমস্ত জমি দখল করার জন্য বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলে। খবর পেয়ে বাবা-কাকারা জমির কাছে যেতেই ওরা আক্রমণ করে। আমাদের ছয়জনকেই গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে নলহাটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে”। পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *