স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ৮ জানুয়ারি:
জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত এলাকা। রাতের অন্ধকারে চলল বাড়ি ভাঙচুর। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুরের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
সূত্রের খবর, হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় একটি জমিকে কেন্দ্র করে এক পরিবারের সঙ্গে ওই এলাকার বারোয়ারি কমিটির সঙ্গে বচসা শুরু হয়। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। রাতের অন্ধকারে চলে বাড়ি ভাঙ্গচুর। বারোয়ারী কমিটি দাবি শঙ্করী বিশ্বাস নামে এক মহিলাকে কয়েক বছর আগে তাঁর কোন জমি জায়গা না থাকার কারণে বারোয়ারি পক্ষ থেকে বসবাস করার জন্য জায়গা দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ তার প্রতিবেশী বিনা হালদার ওই মহিলাকে একা পেয়ে দীর্ঘদিন অত্যাচার চালাত। সেই অত্যাচারের জেরেই গত ৮ মাস আগে ওই বাড়ি ছেড়ে ওই মহিলা অন্যত্র চলে যান। তারপরেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়।
অভিযোগ ওই মহিলা বাড়ি ছেড়ে চলে যাবার পরেই ওই বাড়িটি জোর করে দখল করে নেয় বিনা হালদার। বারোয়ারি সদস্যদের দাবি, ওই জায়গাটি আসলে খাস জমি তার কোনও মালিকানা নেই। সেই কারণেই দীর্ঘদিন ধরে বারোয়ারি দখলে ছিল ওই জমিটি। কিন্তু গতকাল রাতে বিনা হালদার নিজেই কিছু বহিরাগত ছেলে এনে এবং পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নিজের বাড়ি ভাঙ্গচুর করে এলাকার বারোয়ারির নামে দোষ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
যদিও বিনা হালদারের পরিবার স্থানীয় বাসিন্দাদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি শঙ্করী বিশ্বাস চলে যাওয়ার সময় ওই জমিটি তাদের নামে লিখে দিয়ে যায়। কিন্তু বারোয়ারি কমিটি জোর করে জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। জমি না দিলে দু লক্ষ টাকা দিতে হবে এই চাপ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর উভয় পক্ষই শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।