
আমাদের ভারত, হুগলী, ১৪ মার্চ: রাজ চক্রবর্তীর অাগামী সিনেমায় সরাসরি অভিনয়ের সুযোগ করে দেবার নাম করে জালিয়াতি করে টাকা নিয়ে গায়েব হবার পরও সেই টাকা হজম করতে পারল না এক প্রতারক। পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষে শ্রী ঘরে ঠাঁই হল সৌরভ দাস নামে ওই প্রতারকের।
অভিযোগ, গত ৫ মার্চ চুঁচুড়া আদালতের সামনে নিজেকে সুমন নামে এক পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে অর্চিতা দাস নামে এক মহিলার কাছ থেকে নগদ ৫৫ হাজার টাকা নেয় সৌরভ। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের প্রধান হুমায়ুন কবির প্রতারক সৌরভকে সাংবাদিকদের সামনে আনে।কমিশনারেটের প্রধান বলেন, হুগলীর চুঁচড়ার বাসিন্দা অর্চিতা তাঁর ১৩ বছরের মেয়েকে সিনেমায় নামানোর জন্য সৌরভকে ওই টাকা দিয়েছিল। কারণ তাঁকে বলা হয়েছিল টালিগঞ্জে সিনেমায় নামতে গেলে প্রথমে এই টাকাটা দিতেই হবে। সেই মতো সেদিন টাকাটা দিয়ে দেয় অর্চিতা। তাঁর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরেই অবশ্য বেপাত্তা হয়ে যায় প্রতারক।বহুবার ফোন করেও ফোন বন্ধ করে দেবার জন্য ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি সৌরভকে।
এরপরেই চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করেন অর্চিতা।অর্চিতাদবীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নামে পুলিশ। অবষেশে বর্ধমানের মেমারি থেকে গ্রেফতার করা হয় সৌরভকে। তার কাছ থেকে বহু মোবাইলের সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।পুলিশি জেরায় সে জানায়, সিনেমায় সুযোগ করে দেওয়ার নামে হালিশহরের এক মহিলার সঙ্গেও সৌরভ প্রতারণা করেছে।
পুলিশ কমিশানার আরও বলেন, ফেসবুকে রাজ চক্রবর্তীর নামে একটি ভুয়ো প্রোফাইল খুলেছিল সৌরভ।
সেখানে পেজে বিভিন্ন সময়ে রাজ চক্রবর্তী ছবিতে চান্স করে দেবার কথা লেখে সে। সেই পেজ দেখে সৌরভের সাথে যোগাযোগ করতো বিভিন্ন মহিলারা। এর পরই প্রতারক সৌরভের ফাঁদে পড়ে যেত অনেকে। বেশি
আগ্রহীদের কাছে টাকা চাইতো সে। সিনেমায় একবার চান্স পাওয়ার আনন্দে টাকা দিয়ে দিত অনেকেই। টাকা নেবার পরই সেই ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দিত সৌরভ। এই ভাবেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে বেপাত্তা হয়েছে বর্ধমান মেমারির বাসিন্দা সৌরভ।