সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৩ আগস্ট: চেয়ারম্যানের কাজে অসন্তুষ্ট হয়ে বিহিত চাইতে দলের ঊর্ধ্বতনের পর এবার মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হলেন পুরুলিয়া পুরসভার উপ পুরপ্রধান সহ ১০ জন শাসক দলের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর। এই নিয়ে আজ পুরুলিয়া সদর মহকুমাশাসক বিমলেন্দু দাসের কাছে পুর প্রধানের বিরুদ্ধে নালিশ জানান তাঁরা।
পুর প্রধান নবেন্দু মাহালির সঙ্গে দলের অধিকাংশ কাউন্সিলরদের সঙ্গে বনিবনা নেই। তারই প্রভাব পড়তে শুরু করল। মহকুমা শাসকের কাছে পুর প্রধানের বিরুদ্ধে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পুরুলিয়া পুরসভার কাজ কর্ম চলার অভিযোগ করেন তৃণমূলের ওই কাউন্সিলররা। এছাড়াও পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে শনিবার সভা বয়কট করেছিলেন শাসক দলের ওই কাউন্সিলররা। সভায় ছিলেন না উপ পুরপ্রধানও। গরহাজির থেকে স্রোতে গা ভাসিয়েছেন বিরোধী কাউন্সিলররা।
২৩ আসন বিশিষ্ট পুরুলিয়া পুরসভায় ১৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলর রয়েছেন। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে নির্বাচনের পর ২৫ মার্চ পুরপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নবেন্দু মাহালি। তার পর থেকেই দলেরই অধিকাংশ কাউন্সিলরদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে পুরপ্রধানের।
দলের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের অভিযোগ, পুরসভার কাজের সুবিধার জন্য কোনও পরামর্শ নেওয়া হয়নি তাঁদের থেকে। চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করছেন, পুর আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে। বোর্ডের বৈঠক ডাকার ক্ষেত্রেও মানেননি কোনও নিয়ম। অভিযোগে সরব হন ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রবি শঙ্কর দাস। তিনি বলেন, “আমাদের নূন্যতম সন্মান দেননি পুর প্রধান। আজ চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের সভায় সরকারিভাবে কোনও জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি তিনি।”
১৯ নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘ দিনের কাউন্সিলর এবং প্রাক্তন উপ পুর প্রধান বৈদ্যনাথ মন্ডল বলেন, “আমাদের ক্ষোভ আক্ষেপ নিয়ে ১৩ জন কাউন্সিলর সই করে দলকে জানিয়েছি। জেলা সভাপতি, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, সভাধিপতিকে জানিয়েছি। দল এবার যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।”
পুরুলিয়া (সদর) মহকুমাশাসক বলেন, “কাউন্সিলররা আজ আমাকে অভিযোগ করেন যে পুরসভার কাজে তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হচ্ছে না। এই বিষয়টি লিখিতভাবে পেয়ে জেলাশাসককে জানাবো।”