আমাদের ভারত, ৩০ জুলাই: দেশজুড়ে এখন দৈনিক পাঁচ লক্ষ করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। কিন্তু এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই দৈনিক ১০ লক্ষ করোনা পরীক্ষা হবে ভারতে। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, দেশে করোনা প্রতিষেধকের বিকল্প হার্ড ইমিউনিটি কখনোই হতে পারে না।
কোন একটি এলাকায় বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠলে করোনার বিরুদ্ধে তাদের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। ফলে ওই এলাকায় ভাইরাসের বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষা বলয় তৈরি হবে। ওই এলাকায় সংক্রমণ থেমে যাবে। হার্ড ইমিউনিটি করোনা থেকে বাঁচাবে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতি দশজনে নয়জন আক্রান্ত হলে তবেই তৈরি হয়। অর্থাৎ দেশের ৯০% মানুষ আক্রান্ত হলে তবেই হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা ভারতের ক্ষেত্রে শোচনীয় পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে হার্ড ইমিউনিটি এই রোগ থেকে পরোক্ষভাবে বাঁচাতে পারে তবে প্রতিষেধক এর প্রধান অস্ত্র। ভারতের মত জন বহুল দেশে তা কাম্য নয়।
হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন দেশের সুস্থতা হার ৬৪% যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। দেশে মৃত্যুর হার ২.২ শতাংশ। প্রায় ছয় মাস ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছে দেশবাসী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন দেশে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কথা বলার সময় তিনি বলেন, ছয় মাস আগে দেশে ভেন্টিলেটর আমদানি করত। এখন দেশ তিন লক্ষ ভেন্টিলেটার তৈরি করছে। ১৫০ টি দেশে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানি করছে ভারত। তিনি বলেন, “এপ্রিলের ৬ হাজার করোনা পরীক্ষা করতাম আমরা এখন দৈনিক পাঁচ লক্ষ পরীক্ষা হচ্ছে। আর এক থেকে দুই মাসের মধ্যে দৈনিক ১০ লক্ষ পরীক্ষা করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।”