
আমাদের ভারত, ৫ আগস্ট: বেআইনিভাবে ১২০০ বছরের পুরনো হিন্দু মন্দির দখল করে রেখেছিল একটি খ্রিষ্টান পরিবার। দীর্ঘ সময় আইনি যুদ্ধের পর এই মন্দিরটি পুনরুদ্ধার করতে পারল পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের উপাসনা গৃহ গুলির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের আদালত নির্দেশ দিয়েছে লাহোর শহরের ওই মন্দিরটির এবার থেকে দেখভাল করবে ট্রাস্ট।
লাহোরের বিখ্যাত আয়না বাজার এলাকায় রয়েছে পাকিস্তানের অন্যতম প্রাচীন হিন্দু মন্দির বাল্মিকী মন্দির। আদালতের নির্দেশে মন্দিরটি স্থানীয় খ্রিস্টান পরিবারের থেকে পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে পাকিস্তানের ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড। লাহোরের বিখ্যাত কৃষ্ণ মন্দিরের পাশাপাশি বাল্মিকী মন্দিরটিতে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বেশি যাতায়াত। তবে গত দু’দশক ধরে সর্বসাধারণরা মন্দিরে পুজো দিতে পারছিলেন না।
বছর কুড়ি আগে বাল্মিকী মন্দিরের দখল নেয় স্থানীয় একটি খ্রীস্টান পরিবার। নিজেদের ধর্মান্তরিত হিন্দু বলে দাবি করেন তারা। এই পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে কেবলমাত্র বাল্মিকী বর্ণের হিন্দুদেরই ওই মন্দিরে প্রবেশ ও পুজো দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। যা নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল শহরের সংখ্যালঘু হিন্দুদের মধ্যে। এর বিরুদ্ধে মামলা করে ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড। সেই মামলায় আদালত নির্দেশ দেয় মন্দিরটির এবার থেকে দেখভাল করবে ট্রাস্টের সদস্যরা। কারা মন্দিরে পুজো দেবে বা কারা দেবে না সে বিষয়ে নাক গলাতে পারবে না ওই খ্রিস্টান পরিবার।
ট্রাস্ট জানিয়েছে, মন্দিরটি পুনরুদ্ধার হয়েছে। আগামী দিনে প্রাচীন মন্দিরের ভগ্নাংশ সারিয়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। মন্দির পুনরুদ্ধারের পর সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ একটি জামায়াত করে। হিন্দুরা পুজো দেয়। ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।