বছর ১৪-র হিন্দু কিশোরীকে অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তকরণ ও বিয়ের অভিযোগ

আমাদের ভারত, ১৯ সেপ্টেম্বর: রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছিল ভারত। সংখ্যালঘু নির্যাতনে পৃথিবীতে পাকিস্তান নজির গঠন করেছে বলেও কটাক্ষ করেছিল ভারত। সেই কথা যে কোনভাবেই মিথ্যা নয় তা ফের প্রমাণিত হলো। বছর ১৪র এক কিশোরীকে অপহরণ করে জোরকরে ধর্মান্তর করণ করে বিয়ে করেছে এক মুসলিম যুবক বলে অভিযোগ। মেয়েটির পরিবারের তরফে স্থানীয় থানায় এফআইআর করা হলেও পাক পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ।


আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে ১৪ বছরের কিশোরীর নাম পসরা কুমারী পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মোরি জেলার খারিরপুরের বাসিন্দা। ক্লাস নাইনের ওই কিশোরীকে অপহরণ করে আব্দুল সাবুর নামে ওই এলাকারই এক মুসলিম যুবক।

অপহৃতাকে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। এরপর ওই কিশোরীকে জোর করে বিয়ে করে ওই মুসলিম যুবক। খবর পেয়ে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তার জন্মের শংসাপত্র নিয়ে পুলিশের কাছে এফ আই আর করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইমরান প্রশাসন। আব্দুল সাবুর নামে ওই অপহরণকারী যুবক স্থানীয় আদালতের পরসা কুমারীর নামে একটি ভুয়া হলফনামা জমা দিয়েছে। তাতে কিশোরীর বয়স ১৮ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

যদিও মেয়েটির পরিবারের কাছে থাকা কাগজ অনুযায়ী ২০০৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জন্ম হয়েছে পরসা কুমারীর। বর্তমানে তার বয়স মাত্র ১৪ বছর। সে ক্লাস নাইনে পড়ে।

দীর্ঘদিন ধরেই তুলেছে নয়াদিল্লি অভিযোগ তুলে আসছে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে সেখানে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদের ৪৫ তম অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়েও এই বিষয়ে পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করেন ভারতীয় প্রতিনিধি। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর পাকিস্তানের প্রতিদিন অত্যাচারিত হচ্ছে হিন্দু, শিখ খ্রিস্টানরা। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার বলে কিছুই নেই। অথচ তারা নিজেদের দেশের দিকে না তাকিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের মানবাধিকার নিয়ে যে অভিযোগ তুলছে। তিনি বলেন পাকিস্তান যে সব অভিযোগ তুলেছে কাশ্মীর নিয়ে তা সর্বৈব মিথ্যা। তিনি দাবি করেন, যে দেশ নিজেদের সংখ্যালঘুদের অধিকার কেড়ে নেয় তাদের ভারত কেন কোন দেশকে উপদেশ দেওয়ার অধিকার নেই। ধর্মের অবমাননা আইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *