বাতিল হতে পারে ২০০০ টাকার নোট, আয়কর বিভাগের রিপোর্ট ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

আমাদের ভারত, ২১ নভেম্বর:হিসেব বহির্ভূত টাকা লুকানোর একটা বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে 2 হাজার টাকার নোট। আয়কর বিভাগের সদ্য প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্ট বলছে চলতি আর্থিক বর্ষে বাজেয়াপ্ত হওয়া হিসেব বহির্ভূত আয়ের পরিমাণের ৬০ শতাংশেরও বেশি অর্থ ২ হাজার টাকার নোটের রূপে ছিল। আর পর থেকেই সরকারের নেওয়া একাধিক পদক্ষেপ ইঙ্গিত করছে বাতিল হতে পারে ২ হাজার টাকার নোট।

২০১৯ এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত মোট ৩২৯১ মিলিয়ন ২হাজার টাকার নোট বাজারে রয়েছে। যার মূল্য ৬৫৮২ বিলিয়ন টাকা। ২ টাকার নোট ভারতীয় মুদ্রার ৩%। কিন্তু মূল্যায়নের নিরিখে এটা ভারতীয় অর্থনীতির ৩১.২ শতাংশ।

হিসেব বহির্ভূত আয় সম্পর্কিত একটি প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পাঁচ কোটি টাকার বেশি অর্থ যেসব জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে সেখানে ২ হাজার টাকার নোটের রূপে ৬৭.৯১ শতাংশ টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এই পরিসংখ্যানটি ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের।

২০১৮-১০ আর্থিক বর্ষেও মোট বাজেয়াপ্ত টাকার ৬৫.৪২ শতাংশ ২হাজার টাকার নোট। কিন্তু চলতি আর্থিক বর্ষে এ পর্যন্ত এটি ৪৩.২২ শতাংশ। আর এটাই মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের।

২০১৬ সালের নভেম্বরের প্রথম দিকেই ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। এরপর ২ হাজার টাকার নোট বাজারে ছাড়ে সরকার। কিন্তু নোট বাতিল নিয়ে বরাবরই সরব ছিল বিরোধীরা। তার মধ্যে প্রাক্তন অর্থ সচিব এসএ গর্গ এই বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করে লেখেন, বিপুল সংখ্যক ২ হাজার টাকার নোট বাজারে নেই। কারণ সেগুলি গোপনে মজুদ করে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি ২ হাজার টাকার নোট বাতিলের পক্ষে সওয়াল করেন। ২ হাজার টাকার নোট মজুদ করে রাখার বিষয়টি সামনে আসতেই সরকারের তরফেও ২ হাজার টাকার নোট ছাপানো কমানো হয়েছে বলে খবর। এমনকি ধিরে ধিরে ২ হাজার টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।। আরা থেকেই অনুমান করা হচ্ছে ২ হাজার টাকার নোট বাতিল করতে চলেছে সরকার।

ইতিমধ্যেই ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে ৫০ কোটির বেশি লেনদেনের সময় ই-ট্রানস্ফারকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোন ধর্মীয় সংগঠনকে নগদ টাকা দান করার ক্ষেত্রে তা ১০ হাজার থেকে কমিয়ে ২ হাজার টাকা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *