আমাদের ভারত, গাইঘাটা, ২৩ জুন: ত্রাণের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে টাকা ফেরত নিতে আসা প্রধানের লোককে আটক করে বিক্ষোভ এলাকার বাসিন্দারদের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা চাঁদপাড়া ফুলশরা পঞ্চায়েতে।
অভিযোগ এক গরিব অসহায় নিরীহ পরিবারের স্বামী-স্ত্রী দুইজনের ব্যাঙ্ক একাউন্টে আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা ২০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা আসে। এরপরেই সেই টাকা নিতে আসেন পঞ্চায়েত প্রধান সুভাষ ঘোষের লোক রমা সাহা নামে পরিচিত এক মহিলা। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই গ্রামের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
স্থানীয় সুত্রের খবর, ফুলশরা পঞ্চায়েতের বইকরা অঞ্চলের বাসিন্দা সুনিল ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী গীতারানী ঘোষ গরিব অসহায় পরিবার। আমফান ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে তাঁদের ঘর। কিন্তু তাঁদের স্বামী স্ত্রী দুজনের একাউন্টে জমা পড়েছে মোট ৪০ হাজার টাকা। জানা গিয়েছে, ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছিলেন একজন অথচ জখন টাকা এলো তখন দেখা গেল দুজনের একাউন্টেই টাকা ঢুকেছে। এরপরেই গতকাল রাতে আসেন পঞ্চায়েত সুপারভাইজার যিনি প্রধানের লোক বলে পরিচিত রমা সাহা। প্রধানের লোক বলে পরিচয় দিয়ে ২০ হাজার টাকা ফেরত চান। টাকা ফেরত নিয়ে তিনি যাওয়ার সময়, ওই পরিবারকে টাকার কথা কাউকে জানাতে নিষেধ করেন। এরপর টাকার কথা জানাজানি হতেই রমা সাহা ভয়ে ওই পরিবারকে সেই টাকা ফেরত দিতে এলে তাঁকে আটক করে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামের বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসেন পঞ্চায়েত প্রধান সুভাষ ঘোষ। দীর্ঘক্ষণ বচসা চলে প্রাধানের সঙ্গে গ্রামবাসীর। পড়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ এসে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর পুলিশে মধ্যস্ততায় রমা সাহাকে ছেড়ে দেয় গ্রামবাসী।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যেহেতু তারা গরিব নিরীহ পরিবার, তেমন কোনও প্রতিবাদ করতে পারবে না, তাই বেছে বেছে তাঁদের একাউন্টেই টাকা দেওয়া হচ্ছে যাতে পরবর্তী সময়ে টাকা তুলে নিতে পারেন প্রধান।
অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধান সুভাষ ঘোষ বলেন, আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। টাকা ভুল করে সুনিল ঘোষের একাউন্টে চলে গিয়েছে, সেই টাকা তুলে এনে বিডিও অফিসে জমা দেবে বলে আমি লোক পাঠিয়ে ছিলাম।
বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিত ঘোষ বলেন, এই ভাবে পঞ্চায়েতের টাকা নয়ছয় করছেন ফুলশরা পঞ্চায়েত প্রধান। আমফান ঝড়ে সত্যিকারের ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা না দিয়ে, অসহায় নিরীহ পরিবারদের একাউন্টে ডবল টাকা দিয়ে পরে নিজেদের লোক পাঠিয়ে সেই টাকা তুলে নিচ্ছেন। প্রতিবাদ করলে গ্রামবাসী ও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে এই হচ্ছে তৃণমূল সরকার।