আমাদের ভারত, নন্দীগ্রাম, ৭ জুলাই : আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত নয় এমন লোককে ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার ২০০ জন তৃণমূল নেতাকে ইতিমধ্যেই শোকজ করেছে দল। শুধু শোকজ নয় তাদের তিন দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দলের পক্ষ থেকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপর কেটে গেছে নির্ধারিত সময়।
আজ এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাথ পাল। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সেই চিঠি পাওয়ার পরে টাকা ফেরানোর হিড়িক পড়ে নন্দীগ্রামে। রবিবার পর্যন্ত ৮৭ জন নেতা টাকা ফেরত দিয়েছেন। আরো ৫০ জন টাকা ফেরত দেবে বলে জানিয়েছে। তবে এর মধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরো কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে দল।
এক গ্রাম প্রধান সহ ২৫ জনকে সাসপেন্ড করেছে দল। এর মধ্যে কয়েক জন পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ বিভিন্ন স্তরের দলীয় নেতৃত্ব আছে। তাদের জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে।
এই ঘটনায় তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট হল কিননা জানতে চাওয়ায় মেঘনাদ পাল বলেন, ক্ষুব্ধ মানুষেরা তৃণমূল কিংবা এলাকার বিধায়ক মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর উপরে অসন্তুষ্ট নন। তাঁরা জানেন দলের স্থানীয় স্তরের কিছু নেতা এই কান্ড ঘটিয়েছে। তাই তাদের ক্ষোভ সেই সকল নেতৃত্বের উপরে। জেলা নেতৃত্বের নজরে আসতেই তাই দ্রুততার সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মেঘনাথ পাল আরও জানান, তৃণমূলে দুর্নীতিবাজদের কোনও যায়গা নেই। মমতা ব্যানার্জির দল আর বিজেপি, সিপিএম কিংবা কংগ্রেসের মধ্যে পার্থক্য আছে। তাই দুর্নীতির বিষয়টা সামনে আসতেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।