প্রথম ১০ হাজার টেস্টে ১৩ হাজারের গণ্ডি পার! রাজ্যে নতুন করোনা আক্রান্ত ৩৫৫, সুস্থ ৩০২, মৃত ১১

রাজেন রায়, কলকাতা, ১৯ জুন: করোনা মানচিত্রে কিছুটা স্থিরতার দিকে এগোচ্ছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ। আগে যেখানে ৮ থেকে ৯ হাজার টেস্টেও ৪৫০-এর বেশি আক্রান্ত ছাড়িয়ে যাচ্ছিল, সেখানে শুক্রবার প্রথম ১০৩২১ টেস্ট হওয়ার পরেও মিলল মাত্র ৩৫৫ জনের নতুন সংক্রমণ। এই দেখেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণের তীব্রতা কমছে বলে দাবি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।

এদিন ফের ২৪ ঘন্টায় ৩৫৫ জন করোনা পজিটিভে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩০৯০ জনে। আরও ১১ জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে সরকারি হিসেবে মোট করোনায় মৃত্যু ৫২৯ জনের। আরও ৩০২ জন সুস্থের হিসেব ধরলে মোট সুস্থ হলেন ৭৩০৩ জন। এদিন অন্যান্য জেলার সঙ্গে কলকাতায় ৮৬ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ৪১ জন এবং হুগলিতে ৩০ জন সুস্থ হওয়ার জেরে সুস্থতার হার ফের বেড়ে দাঁড়াল ৫৫.৭৯ শতাংশে।

এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ৫২৫৮ জন। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রকাশিত বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছে, এ যাবৎকালের করোনা টেস্টের হিসেবে এই প্রথম এক দিনে ১০ হাজার টেস্ট এর গণ্ডি পার করল রাজ্য। এদিন পর্যন্ত রাজ্যের ৪৮ টি ল্যাবে মোট করোনা টেস্টের সংখ্যা ৩৮০৬১২ জনের। তার মধ্যে ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১০৩২১ জনের। রাজ্যের ৭৭টি করোনা হাসপাতাল, ২৪টি সরকারি এবং ৫৩টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০১০৫টি বেড আছে, আইসিইউ পরিষেবা রয়েছে ৯৪৮ জনের। ভেন্টিলেটর রয়েছে
৩৯৫টি। তার ২০.৪৫ শতাংশ রোগী ভর্তি আছেন।

সরকারি ৫৮২ টি কোয়ারেন্টাইনে এখন রয়েছেন ৯৪৮৪ জন। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৮৮২৭৯ জনকে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৪২৮৬৯ জন। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১৬৩৮২৬ জনকে। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্যে জানানো হয়েছে, ৭৮২১টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ৬৯৬৬৭ জন শ্রমিককে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। করোনা পরীক্ষা করে সুস্থ দেখে ১৮৩৭০২ জন শ্রমিককে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এদিনের বুলেটিনে প্রথম বার রাজ্যে সেফ হোম ও তার বেড সংখ্যা এবং সেখানে তার রোগীদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজ্যের ১০৬টি সেফ হোমে ৬৯০৮টি বেড রয়েছে এবং তাতে ২৪১ জন রোগী রয়েছেন।

এছাড়া এদিনের বুলেটিনে জেলাওয়াড়ি তথ্যে জানানো হয়েছে, কলকাতায় এদিন ১৩১ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় মোট সংক্রমণ ৪৪০০ জনের। এদিন কলকাতায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় কলকাতাতেই মোট মৃত্যু ৩২২ জনের। এছাড়া হাওড়ায় ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২ জন করে মোট ৪ জন এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ১ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন অন্যান্য জেলার সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনাতে ৫২ জন এবং হাওড়াতে ৫৭ জনের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম ছাড়া সংক্রমণ বেড়েছে রাজ্যের সব ক’টি জেলাতেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *