প্রথম সংক্রমণের ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডেই সংক্রামিত ৩৬৪, মৃত্যু ৫! চূড়ান্ত উদ্বেগে পুরসভা

রাজেন রায়, কলকাতা, ১ আগস্ট: কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চূড়ান্ত উদ্বেগে পুরসভার আধিকারিকরাই। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই ওয়ার্ডে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৬৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। তার মধ্যে আনন্দপুরের একটি আবাসন থেকেই আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ জন, যারা প্রত্যেকেই আনন্দপুর বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী। বাকিদের মধ্যে সিংহভাগই আবাসন ও বহুতলের বাসিন্দা।

প্রসঙ্গত, এই ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডেই খোঁজ মিলেছিল রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত আমলা পুত্রের। পুরসভা জানাচ্ছে, প্রথম করোনা রোগীর বহুতল আবাসনেই এখনও পর্যন্ত ২২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। সংক্রমণে পাল্লা দিচ্ছে অন্য বহুতলগুলিও। ৪০ জন সংক্রমিত নিয়ে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে মুকুন্দপুরের বহুতল এসবি টাওয়ার। আর সেই ওয়ার্ডেই এই ভয়াবহ অবস্থা দেখে রীতিমত কপালে ভাঁজ পড়েছে পুরসভার আধিকারিকদের। বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিছুদিন আগে পুরসভার কো-অর্ডিনেটরদের সঙ্গে
স্বরাষ্ট্র সচিব তথা কলকাতার নোডাল অফিসার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতা অর্থাৎ পাটুলি বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় হাসপাতালের আধিক্যই সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এই মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হলেও এখন দেখা যাচ্ছে, কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে সংক্রমিতদের মধ্যে অধিকাংশই বহিরাগত। তারা বেশিরভাগই ওই এলাকার বাইপাস সংলগ্ন হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মী। যাদবপুরের ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে সংক্রমিতের তালিকায় মাত্র ৯৪ জন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা থাকলেও বাকিরা সকলেই বহিরাগত। এছাড়াও ওয়ার্ডে যে ৫ জন মারা গিয়েছেন তাঁর মধ্যে দু’জন স্থায়ী বাসিন্দা হলেও বাকি তিনজন বহিরাগত।

তবে কেবল ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডই শুধু নয়, সংক্রমণ ছড়িয়েছে পার্শ্ববতী ওয়ার্ড গুলিতেও। ইতিমধ্যেই ১০১ ওয়ার্ডে ২০৯ জন, ১১০ ওয়ার্ডে ৬৬ জন, ১০০ নম্বরে ১৩৮ জন এদিন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *