পার্থ খাঁড়া, কেশপুর, ২৫ এপ্রিল: সব দিন বিদ্যালয়ে আসেন না শিক্ষিকারা এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। পরপর তিন চারদিন স্কুলে এলেও আবার সঠিক সময়ে আসেন না। তাই ছাত্রছাত্রীরা কিছু শিখতে পারছে না। এই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের ১৩ নম্বর অঞ্চলের অন্তর্গত লক্ষ্মণচক শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের।
লক্ষ্মণচক শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১২ জন। আদিবাসী এলাকা হওয়ায় পড়াশোনায় খুব একটা আগ্রহ নেই এলাকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে। তার মধ্যেও যে কয়েকজন পড়াশোনা করে তাদের অভিযোগ, শিক্ষিকারা সঠিক সময়ে আসেন না। বিষয়টি পঞ্চায়েত অফিসেও জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা, তবুও কোনও সুরাও হয়নি। গ্রামবাসীরা আরও অভিযোগ করেন ১৪-১৫ বছর বয়স হয়ে গেলেও সেই মেয়েরা ক্লাস থ্রিতেই পড়ে এবং তারা অ-আ-ক-খ টাও ঠিকঠাক করে পড়তে পারে না তাহলে কী পড়ান শিক্ষিকারা। সপ্তাহে দু-তিন দিন বিদ্যালয়ে আসেন, আসলেও তা ১২ টার পর। বিদ্যালয় এসে নিজেরাই গল্প করে পড়াশোনা করায় না, অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের।
ওই ছাত্রের অভিযোগ, মিড ডে মিলেও তেমন কিছু খাওয়ায় না। শুধু ডাল আর তরকারি, মাছ মাংস হয় না কোনো দিন।
এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে ২ জন শিক্ষিকা আছেন। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুতুল মণ্ডল নামে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা। তিনি বলেন, এসব মিথ্যে অভিযোগ, আমরা সব দিন বিদ্যালয়ের সঠিক টাইমে যাই। তবে এ বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।