সুশান্ত ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনা, ১০ মে: পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী ও সন্তানের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে উঠল স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামী সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার বানিপুর ইতনা কলোনি এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, হাবড়া থানার আয়রা এলাকার বাসিন্দা জগন্নাথ কুন্ডুর মেয়ে সোনালীকে বছর পাঁচেক আগে বিয়ে করে হাবড়ার ইতনা কলোনির বাসিন্দা গোবিন্দ পাল। মৃত সোনালীর বাবা জগন্নাথবাবুর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই খুটিনাটি কারণে জামাই গোবিন্দ তার মেয়ের সঙ্গে ঝামেলা অশান্তি করতো। শনিবার সকাল থেকে ফের অশান্তি শুরু হয়। মেয়েকে মারধরও করে। ওইদিন দুপুরে অশান্তি চরমে ওঠে। ঘটনার কথা সোনালী তার বাড়িতে জানায়। সেই রাগে গোবিন্দ তার ছেলে ও স্ত্রীকে ঘরে আটকে তাদের গাঁয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাদের প্রথমে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদেরকে আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাস্তায় নিতে যেতে যেতে তাদের অবস্থার অবনতি হলে তাদের বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বারাসাত হাসপাতালে মৃত্যু হয় সোনালী পালের। রাতে আরজিকর হাসপাতালে মৃত্যু হয় আড়াই বছরের ছেলে দেবাংশু পালের।
জগন্নাথবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে হাবরা থানার পুলিশ গোবিন্দ পাল সহ পরিবারের চারজনকে গ্রেফতার করে। গোবিন্দ পালের ভাই তারক পাল ও দুই বৌমা টুম্পা পাল কাঞ্চনা পালকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের রবিবার বারাসাত আদালতে তোলা হয়।