রাজ্যে আমফানের বলি ৭২, প্রধানমন্ত্রীকে এসে রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর

আমাদের ভারত, ২১ মে : একে তো করোনা। তাতে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে গেছে গেছে শহর। দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলী সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ জেলার অবস্থা মারাত্মক খারাপ। শিকর উপরে হাজার হাজার গাছ পড়ে গেছে রাস্তায়। একের পর এক বিদ্যুতের পোল লাইট পোস্ট ঝড় উপরে নিয়েছে। তারই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন আমফানে তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৭২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে খবর।

৭২ জনের মধ্যে কলকাতায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাওড়ায় হয়েছে ৭ জনের মৃত্যু। নিহতদের প্রত্যেকেই গাছ পড়ে কিংবা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মারা গেছেন। নিহতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এদিন।

আমফানের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত জেলাগুলি পুনর্গঠনের জন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গড়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

টাস্কফোর্সের বৈঠকে মন্ত্রী ও আমলাদের এই বিষয়ে সচেষ্ট হওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আবারো একবার কেন্দ্রীয় সাহায্যের প্রসঙ্গ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছেন পরিস্থিতি নিজে এসে খতিয়ে দেখার।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আফফানের তাণ্ডবে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসছে। ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোনে ত্রাণ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাবদ অর্থ সাহায্যের কথাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন বহু দিন পরে টাকা পেয়ে লাভ নেই, দ্রুত দরকার। করোনার টাকা এখনো পাইনি। রাজ্যের ভাঁড়ারে এমনি টান পড়েছে। তার ওপর আবার এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

টাস্কফোর্সের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন আবহাওয়া ঠিক থাকলে শনিবারেই দুই ২৪ পরগনার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করবেন। এরপর বিধ্বস্ত জেলাগুলি পরিদর্শনে যাওয়ার ইচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। নির্দেশ দিয়েছেন নিজের মন্ত্রীদের জেলার পরিস্থিতি ঘুরে দেখার। তবে মনে করিয়ে দিয়েছেন সব ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে। রাজ্যের সব দপ্তরকে দ্রুত ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমলাদের ৭ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থার রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *