আমাদের ভারত, ৩১ মার্চ : দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সভা থেকে ব্যাপক হারে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছিল দেশজুড়ে। সেই সভায় অংশগ্রহণ করেছিল এই রাজ্যেরও বেশ কিছু মানুষ। নিজামউদ্দিন থেকে ফিরে সেই সব লোকেরা নিজেদের পরিবার প্রতিবেশীদের সংস্পর্শে এসেছেন। সেই সংখ্যাটা এই রাজ্যে দাঁড়িয়েছে ১১৬। তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। খোঁজ চলছে আরোও। নিজামুদ্দিনের সমাবেশে যাওয়ায় এই রাজ্যের মানুষের সংখ্যা ৭৩ বলে অনুমান করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন এদের প্রত্যেকেরই করোনার পরীক্ষা করা হবে। যারা গিয়েছিলেন তাদের সবাইকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নিজামুদ্দিনের ঘটনা জানতে পারার পরেই নবান্ন থেকে একেবারে সোজা লালবাজারে যান মুখ্যমন্ত্রী নিজে। সেখানে পুলিশ কমিশনার সহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এই বৈঠকের নিজামুদ্দিনের ঘটনায় ছিল মূল আলোচ্য। এরপর মুখ্যমন্ত্রী যেন ভবানি ভবনে।
গত ১৩ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিনের এক মসজিদে ধর্মীয় সমাবেশ হয়। করোনা সতর্কতায় সমস্ত রকম নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে একসঙ্গে দুই হাজার মানুষ এখানে জমায়েত হয়েছিলেন। এমনকি সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, মায়ানমার থেকেও ওই ধর্মীয় সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছিলেন অনেকে। এই সমাবেশে অংশ নেওয়া পর এখনো পর্যন্ত তেলেঙ্গানায় ৬ জনের করোনা মৃত্যু হয়েছে।একজনের মৃত্যু হয়েছে শ্রীনগরে।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে ৭৩ জন নিজামুদ্দিনে সমাবেশে গিয়েছিলেন তাদের সবাইকে কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব। তাদের সকলের কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা করা হবে।
এদিকে দিল্লির নিজামুদ্দিন এর ধর্মীয় সমাবেশে থাকা ২৪ জনের দেহে হদিশ মিলেছেকরোনির। সেখানে উপস্থিত আরো অনেকের মাধ্যমে এই মারন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওই সমাবেশে থাকা সাড়ে চারশো জনের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা গেছে বলে জানা গেছে।