আমাদের ভারত, ৫ আগস্ট: শুক্রবার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কলকাতায় উদযাপিত হল বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী।
দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, “বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন-এর ‘বাংলাদেশ গ্যালারিতে’-তে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর তাঁর জীবনের উপর এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন ও কর্ম নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম, তৃতীয় সচিব (রাজনৈতিক)। মুখ্য আলোচক হিসেবে সাংবাদিক ও প্রাক্তন পরিচালক অভিজিৎ দাশগুপ্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন কোর্সমেট মেজর (অব:) ওয়াকার হাসান।
এ ছাড়া কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী, কাউন্সেলর (কনস্যুলার) মোঃ বশির উদ্দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপ হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন মিজ সানজিদা জেসমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক)।
উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বক্তব্যে বলেন, শেখ কামাল ছিলেন মুক্তবুদ্ধি চর্চার অন্যতম কারিগর। সদ্য স্বাধীন দেশে প্রগতিশীল নানা কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন শেখ কামাল। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হলেও তাঁর মধ্যে কোন অহমিকাবোধ ছিল না। তিনি ছিলেন মার্জিত, বিনয়ী, বন্ধুবৎসল ও পরোপকারী। নবসৃষ্ট বাংলাদেশের তরুণ সমাজের বিকাশে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধকরণে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
অভিজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, শেখ কামাল আমাদের কাছে হয়ে উঠেছিলেন স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে তারুণ্যের প্রতীক। মানুষকে আপন করে নেয়ার এক অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল তাঁর।“