আজ সন্ধ্যা থেকে চালু হচ্ছে ৩৯ টাকায় ৯০ মিনিটের গঙ্গা ভ্রমণ, সৌজন্যে রাজ্য পরিবহণ নিগম

রাজেন রায়, কলকাতা, ১ অক্টোবর: কোভিড পরিস্থিতিতে ন্যূনতম মূল্যে শহরবাসীকে ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়ে কিছুটা হলেও আনন্দ দিতে চাইছে রাজ্য পরিবহণ নিগম। সেই কারণে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই গঙ্গাবঙ্গে চালু হচ্ছে ‘হেরিটেজ ক্রুজ’। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই মাথাপিছু মাত্র ৩৯ টাকায় ৯০ মিনিট অর্থাৎ দেড় ঘন্টা রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুরের মূর্চ্ছনার সঙ্গে গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। পরিবহণ দফতরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে রাজ্য পর্যটন দফতর।

জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে মিলেনিয়াম পার্ক জেটি থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টে-৬টা পর্যন্ত ক্রুজে চড়ে ঘোরা যাবে। শনি-রবি এবং যে কোনও ছুটির দিনে থাকছে অতিরিক্ত আরও একটি জয় রাইড। দুপুর ১২টা-২টো পর্যন্ত এবং বিকেল ৪টে-৬টা পর্যন্ত। মিলেনিয়াম পার্ক থেকে রওনা হয়ে আবার সেখানে এসেই শেষ হবে যাত্রাপথ। ক্রুজের মধ্যে থাকছে ক্যাফেটেরিয়া। ইচ্ছে হলে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে গলাও ভিজিয়ে নিতে পারেন যাত্রীরা। তবে ক্রুজে খাবার বা পানীয় খেতে গেলে অতিরিক্ত খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। শুধুমাত্র পানীয় জল পাওয়া যাবে বিনামূল্যে।

মিলেনিয়াম পার্ক থেকে যাত্রা শুরু করে ক্রুজটি প্রথমে যাবে উত্তরের শোভাবাজার-আহিরিটোলার দিকে। এই যাত্রাপথে দেখানো হবে, কাস্টমস হাউজ, ইস্টার্ন রেলওয়ে হেড কোয়ার্টার ফেয়ারলি প্লেস, আর্মেনিয়ান ঘাট, মল্লিক ঘাট, হাওড়া ব্রিজ, জগন্নাথ ঘাট, নিমতা ঠাকুর বিসর্জন ঘাট, নিমতা মহাশশ্মান, আহিরিটোলা এবং শোভাবাজার ঘাট। সেখান থেকে ক্রুজ ঘুরিয়ে নিয়ে দক্ষিণের পথে দেখানো হবে হুগলি ডক, গোলাবাড়ি জেটি, হাওড়া জেটি, হাওড়া স্টেশন, হাওড়া রেল মিউজিয়াম, রামকৃষ্ণপুর জেটি, শিবপুর জেটি, বিদ্যাসাগর সেতু। ফেরার পথে দেখানো হবে, ম্যান অফ ওয়্যার জেটি, রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ জেটি, বাবুঘাট, চাঁদপাল ঘাট, নতুন সেক্রেটরিয়েট বিল্ডিং, সমৃদ্ধি ভবনের আলো। এরপর মিলেনিয়াম পার্কে এসে শেষ হবে এই জয় রাইড। অর্থাৎ সম্পূর্ণ প্যাকেজে থাকবে শহরের সঙ্গে গঙ্গা নদীর দুই পাড়ের মেলবন্ধন ও যোগসূত্রের সম্পূর্ণ চালচ্চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ নিগমের এমডি রাজনবীর সিং জানিয়েছেন, আমাদের আশা, এই হেরিটেজ ওয়াটার রাইড পুজোর মরসুমে মানুষের ভীষণ পছন্দ হবে। বেসরকারি সংস্থার থেকে সস্তা হওয়ার কারণে অনেক বেশি মানুষ চড়তে পারবেন। কোভিড পরিস্থিতিতে সমস্যাজীর্ণ মানুষকে এটুকু আনন্দ তো দেওয়াই যায়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *