
আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৫ ডিসেম্বর: গাড়ির টায়ারের ভিতর থেকে ৯৩ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা উদ্ধারের ঘটনায় জলপাইগুড়িতে রাজনৈতিক চাপানোতর সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি অভিযোগ, তৃণমূলের টাকা। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি টাকা। ঘটনার তদন্তে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের। গ্রেফতার মোট পাঁচজন।
এ দিন জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো সোমবার পুলিশ সুপার অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে টাকা উদ্ধারের ঘটনা তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার বলেন, “বিহার থেকে অসম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল টাকাগুলি। গাড়ির টায়ারের ভিতরে করে টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পাঁচশো, দুশো ও দুই হাজার টাকার নোট ছিল। টাকা গুনতে সাহায্য নেওয়া হয় ব্যাঙ্কের। এ দিন ধৃতদের আদালতে তুলে জেরা করতে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হবে।”
ধৃত যুবকরা হলেন ইমতিয়াজ আলম, মহম্মদ তৌফিক, মহম্মদ নওসাদক, মহম্মদ মোজাব্বিল এই চারজন বিহারের বাসিন্দা। অন্যদিকে গুডু রজক ডালখোলার বাসিন্দা।
রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক মনোজ টিজ্ঞা বলেন, “উদ্ধার হওয়া টাকা তৃণমূলের,”রাজ্যে যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে তাতে অর্পিতার বাড়ি সহ অনেক জায়গা থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে। হয়তো গাড়ির নম্বর পালটে সেই সব টাকাই সরানো হচ্ছিল। কোনো কিছু হলেই তৃণমূল বলে বিজেপির টাকা। তাহলে পুলিশ প্রশাসন কি করছিল। এটা তৃণমূলের টাকা। এর সাথে বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই। কয়লা, বালি সহ কাঠ পাচারের টাকা এইসব। পুলিশ টাকা উদ্ধার করে দেখায় তারা কাজ করছে। আসলে আরও টাকা পাচার হচ্ছে।”
যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন,
“বিচ্ছিন্নতাবাদীদের টাকা দিতেই এই টাকা নিয়ে এসেছিল বিজেপি। বিহার থেকে অসমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল টাকা। বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী ভিডিও বার্তা দিচ্ছে। এই সবের পিছনে রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সব কিছু করেও জনতার আদালতে বিজেপি হবে বন্দি।”