অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ২৯ নভেম্বর: বাল্য বিবাহ রুখতে নজির বিহীন সাহসী পদক্ষেপ স্কুল ছাত্রীর। পরিবারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে নিজের বিয়ে আটকানোয় নাবালিকাকে পুরষ্কৃত করল ব্লক প্রশাসন। বিডিও ব্যতিক্রমী এই নাবালিকার হাতে তুলে দিলেন পুরষ্কার সামগ্রী। সঙ্গে নাবালিকাকে হোস্টেলে রেখে আগামী তিন বছর পড়াশোনায় সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিলেন। ঘটনা গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের কেন্দুগাড়ি অঞ্চলের। সাহসী ছাত্রী কেন্দুগাড়ি অঞ্চলের ধানশোল আদিবাসী হাইস্কুলের।
গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লক প্রশাসন সুত্রে খবর, ধানশোল আদিবাসী হাইস্কুলের বছর ১৪ এর এক নাবালিকার বিয়ে ঠিক করে বাড়ির লোকজন। কিন্তু বাড়ির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি মেয়েটি। সে বাড়ির এই অনৈতিক সিদ্ধান্তের কথা স্কুল কর্তৃপক্ষের সামনে তুলে ধরে। বিষয়টি স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহাদেব হেমব্রম ব্লক প্রশাসনের সামনে আনেন। খবর পেয়ে গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দেবজ্যোতি পাত্রের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন ব্লকের সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার দ্বীপ গাঙ্গুলি। ব্লক প্রশাসন এবং পুলিশ মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ধানশোল আদিবাসী হাইস্কুলের হোস্টেলে এনে ভর্তি করে এবং আগামী তিন বছরের হোস্টেল খরচ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ব্লক প্রশাসন। মেয়েটির সাহসী এই সিদ্ধান্তের জন্য বিডিও দেবজ্যোতি পাত্র মেয়েটির হাতে তুলে দেন পুরষ্কার সামগ্রী।
এবিষয়ে গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার দ্বীপ গাঙ্গুলি জানান, মেয়েটি সত্যিই ব্যতিক্রমী।তাই আমরা আগামী দিনে বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে প্রচারে মেয়েটিকেই প্রজেক্ট করবো এবং সরকারি স্তরে পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করবো।