পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৫ আগস্ট: দ্রুতগতির যান চলাচলের ওপর ট্রাফিক পুলিশের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বালুরঘাট শহরে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে পথ দুর্ঘটনা। শুক্রবার দুপুরে বেপরোয়া বাসের চাকায় গুঁড়িয়ে গেল একটি রিক্সা ভ্যান ও সাইকেল। রক্তাক্ত অবস্থায় ভ্যান চালক ও সাইকেল চালক দুইজনকেই ভর্তি করা হয়েছে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে তারা। এদিন দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় শহরের নারায়ণপুর পায়েজ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়।
জানা গেছে, এদিন বালুরঘাট বাস স্ট্যান্ড থেকে বেরিয়ে একটি রিক্সাভ্যান তার গন্তব্যস্থলের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় নারায়ণপুর এলাকায় ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যে ঘটনায় এক ভ্যানচালক ও এক সাইকেল চালক গুরুতর আহত হয়। যাদের উদ্ধার করে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ভ্যান চালকের নাম সাধন দাস ও আহত সাইকেল চালকের নাম শ্যামল সাহা। বর্তমানে দু’জনেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, দ্রুত গতির ওই বাসটি সরাসরি সাইকেল ও ভ্যানটিকে পিষ্টে দিয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পৌছে আহতদের হাসপাতালে পাঠাবার পাশাপাশি ওই বাসটিকে আটক করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। যদিও বাসের চালক পলাতক রয়েছে। শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এলাকায় কেন ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি নেই সেই প্রশ্নই তুলেছেন অনেকে। স্থানীয়দের দাবি, ট্রাফিক পুলিশ থাকলেই এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
প্রত্যক্ষদর্শী দিলীপ সরকার নামে এক টোটো চালক বলেন, অল্পের জন্য তিনি ও তার টোটোতে থাকা তিনজন বেঁচে গেছেন। বাসটি সরাসরি এসে পিষে দিয়েছে সাইকেল ও রিক্সা ভ্যানটিকে। দুই চালকই গুরুতর আহত হয়েছে। বাসের চালকের কারণেই এই দুর্ঘটনা।