
জে মাহাতো, মেদিনীপুর, ১১ আগস্ট: এক দশক পর লাল ঝান্ডায় ছেয়ে গেল কেশপুরের সিপিএম অফিস জামশেদ আলী ভবন। ১৯৮৩ সালে কেশপুরে খুন হন সিপিএম নেতা জামশেদ আলী। তার নামেই তৈরি হয় কেশপুরের প্রধান দলীয় কার্যালয়টি। জেলা সিপিএমের পক্ষ থেকে কেশপুরের এই অফিস লাল ঝান্ডায় মুড়ে ফেলে কয়েকশো মানুষকে নিয়ে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর কেশপুরের সিপিএমের অফিসগুলি এক এক করে দখল করে নেয় তৃণমূল। পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের জরিমানা, মারধর, সামাজিক বয়কট ও মামলার মুখে দাঁড় করিয়ে দল ছাড়তে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরেই কেশপুরজুড়ে একে একে বন্ধ হয়ে যায় সিপিএমের বাকি অফিসগুলি। ফলে কেশপুরের এই প্রধান অফিস জামশেদ ভবনেও ঝান্ডা তোলার লোক ছিল না বলে মেদিনীপুর জেলা অফিসে বিগত নয় বছর এই স্বরণসভা হয়েছে। কিন্তু ন’বছর পর যেন প্রাণ ফিরে পাচ্ছে কেশপুরে
সিপিএম। স্থানীয় লোকজন নিয়ে অফিস লালে লাল করে এবার সেখানেই সভা করল জেলা নেতৃত্ব। স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের সম্পাদক তরুণ রায়, রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিনহা এবং কেশপুরের প্রাক্তন বিধায়ক রামেশ্বর দোলুই।
জেলা সম্পাদক তরুণ রায় জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতি এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিরক্ত হয়ে তৃণমূলের প্রতি মোহভঙ্গ হচ্ছে দলছুটদের। তারা একে একে ফিরতে শুরু করেছেন। এর ফলে কেশপুরের বাকি পার্টি অফিস গুলিও খোলার জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।