জে মাহাতো, ঝাড়গ্রাম, ১ অক্টোবর: দলের জেলা সভাপতি, চেয়ারম্যান ও অন্যান্য নেতাদের দায়-দায়িত্বকে তোয়াক্কা না করে নিজেকে জঙ্গলমহল উদ্ধারের কান্ডারী ঘোষণা করলেন ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন সাংসদ উমা সরেনl গতকাল লোধাশুলিতে আয়োজিত যুব কমিটির সভায় মমতা বন্দনায় আপ্লুত হয়ে তিনি ঘোষণা করেন, জঙ্গলমহলের সব বিধানসভা আসন জেতানোর দায়িত্ব আমার। আপনারা শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরাধনা করুন।
জঙ্গলমহলের সব সিট জেতানোর দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। যে যা করছে করতে দিন। আপনারা শুধু মমতা আরাধনায় মন দিন।
প্রায় এক মাস ধরে সারা রাজ্যে জেলায় জেলায় লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার যুব কর্মপ্রার্থী যখন চাকরির দাবিতে রাজ্য সরকারকে ল্যাজে গোবরে অবস্থা করে ছাড়ছে ঠিক সেই সময় জঙ্গল মহলের যুবদের প্রতি উমা সরেনের আবেগপ্রবণ মমতাবন্দিত বক্তব্য, আমাদের কাছে জীবন্ত মা দুর্গা মমতা বন্দোপাধ্যায় আছেন। তিনি চান জঙ্গলমহলের সমস্ত মানুষ ভালো থাকুক। জঙ্গলমহলের শিশুদের স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করেছেন তিনি। জঙ্গলমহলকে সমস্ত কিছু দিয়েছেন। তাই আপনারা শুধু তাঁর আরাধনা করে চলুন। পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে তৃণমূলের পরাজয়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে জঙ্গল মহলে খারাাপ ফল হয়েছে তৃণমূলের। লোকসভা ভোটে তাঁর সরে দাঁড়ানোটা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে জঙ্গলমহলের মানুষ ঠিক ভাবে নেয়নি বলে উমা সরেন দাবি করেন।
তাই জঙ্গলমহলের মানুষকে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজো করার পরামর্শ দেন এবং জঙ্গলমহলের বিধানসভার সমস্ত আসন তিনি নিজেই জিতিয়ে দেবেন বলে ঘোষণা করেনl উমা সরেনের এই ধরনের বক্তব্য নিয়ে ঝাড়্গ্রাম জেলা তৃণমূলের অন্দরে শোরগোল পড়ে গেছে। উমা সরেন এককভাবে জঙ্গলমহলের সমস্ত আসন জিতিয়ে দেবেন এই বক্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে সর্বত্রl জেলা তৃণমূলের এক নেতা এই ধরনের বক্তব্য প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, কিছু বলার নেইl
ঝাড়গ্রাম জেলার বিজেপি সভাপতি সুখময় সৎপতি বলেন, তখন তৃণমূলের হাওয়ায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগ্রহে সাংসদ হয়েছিলেন উমা সরেনl তিনি কোনো রকম রাজনৈতিক কৃচ্ছ্রসাধনের মধ্য দিয়ে নেত্রী হননিl তৃণমূলের গোষ্ঠী রাজনীতিতে এইসব নেত্রীদের কোনো রাজনৈতিক ব্যাস নেইl আর তিনি জঙ্গলমহলের সব আসনে তৃণমূলকে জিতিয়ে দেবেন এ বক্তব্য তো অত্যন্ত হাস্যকর!