আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ১১ ডিসেম্বর: একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক কাজের কথা ঘোষণা করলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শিলা দাস সরকার। বর্তমান অর্থবছরে কি কি কাজ চলছে বা হয়ে গেছে তার যেমন বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরলেন পাশাপাশি আগামী অর্থবছরেও জেলা পরিষদ কি কি কাজ করতে চলেছে তাও এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন সভাধিপতি।
উল্লেখ্য, ছোট-বড় মিলিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ আগামী ২ বছর ধরে করবে জেলা পরিষদ। যার মধ্যে রয়েছে, জেলা পরিষদের তরফে পথশ্রী প্রকল্পের নির্মীমান ২৫টি রাস্তা, এছাড়া জেলার ৬টি ব্লকে নতুন করে আর ৫০টি রাস্তা তৈরি হবে। জেলাজুড়ে তৈরি হবে কমিউনিটি টয়লেট। যার মধ্যে কিছু টয়লেট থাকছে আলিপুরদুয়ারের উপর দিয়ে চলে যাওয়া ৩১সি নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে। প্রতিটি শৌচাগারের সঙ্গেই পরিশ্রুত জলের ব্যবস্থা থাকছে। শৌচাগার পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠী। পাশাপাশি আগামী অর্থবছরে জলের পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। যেখানে জেলার প্রতিটি হাট ছাড়াও জনবহুল এলাকায় কোনও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে যাতে জলের সমস্যা না হয় সেজন্য প্রতিটি ব্লকের নির্দিষ্ট স্থানে মাটির নীচে জলের রিজারভার বাসানো হবে। যাতে দলকলকর্মীরা সহজেই সেইসব রিজারভার থেকে জল নিতে পারেন। এছাড়াও জনবহুল এলাকায় পানীয় জলের ভেন্ডিং মেশিন বসানো হবে। জেলার প্রতিটি বিদ্যালয় এবং কলেজে ভেন্ডিং মেশিং বসানো হবে। জেলার নতুন হাটশেড তৈরীর সাথে পুরনো শেডগুলিকেও রিপেয়ার করা হবে। জেলায় ইতিমধ্যে জেলা পরিষদ ৭টি সেতু নির্মান করছে। যারমধ্যে একটির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। বাকি ৬টির কাজ দ্রুত শেষ হয়ে যাবে বলেও জানান সভাধিপতি।
এছাড়াও নতুন করে আরও দুটি সেতু, একটি বাঁধ, একটি শ্মশানঘাট তৈরি হবে। দ্রুত শেষ হবে ছোট ছোট ১৮টি কালভার্টের নির্মাণ কাজ। অগ্নিকান্ড থেকে বারবিশাকে রক্ষা করতে কুমারগ্রাম ব্লকের বারবিশাতে মাটির তলায় জলের স্থায়ী রিজার্ভার তৈরি হবে। বিভিন্ন প্রকল্পে যেমন জল, কালভার্ট, ব্রিজ সহ একাধিক প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে তেমনি কুমারগ্রাম ব্লকে ৩০ জন ছেলেমেয়েদের ছোট শিল্পে উৎসাহ দিতে অত্যাধুনিক সেলাই মেশিনে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ দ্রুত শুরু করতে চলেছে জেলা পরিষদ। জেলার দুর্গম প্রত্যন্ত বেশ কয়েকটি এলাকায় সোলার লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আবার হাইমাস টাওয়ারও বসানো হবে। শীলাদাস সরকার বলেন, আপাতত শুধু জল, শৌচাগারের কাজে প্রায় ৪ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। জেলায় পথশ্রী প্রকল্পে সাড়ে ৮ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আগামী অর্থবর্ষের জন্য আমরা প্রায় ১১কোটি টাকার কাজের প্রকল্প তৈরী করে পাঠিয়েছি। আশা করছি আমরা পুরো টাকাটাই পাব। আমরা জেলার ৬টি ব্লকজুড়েই কাজ করছি।