স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২৪ অক্টোবর: পণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এমনকি জোর করে গর্ভপাত করানোর জেরে এক গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে।
মৃতের নাম রিনা চৌহান(মাহাতো)(২২)। তাঁর শ্বশুরবাড়ি কালিয়াগঞ্জ থানার তরঙ্গপুরের ভেউর এলাকায়। মৃতার বাপের বাড়ি রায়গঞ্জের ফরেস্ট মোড় এলাকায়। মৃতার পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলত। মাঝে মধ্যেই টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হতো। অনেকবার মৃতার বাবা মেয়েকে অত্যাচারের হাত থেকে বাচাঁতে টাকাও দেন। কিন্তু তারপরও সমস্যা মেটেনি। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা জোর করে রিনার গর্ভপাত করান বলে অভিযোগ।
মৃতার আত্মীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকেই টাকা চেয়ে আমার মেয়েকে মানসিক চাপ দেওয়া হতো, তাকে মারধরও করতো ওর স্বামী, শ্বশুর, ভাসুর সবাই। টাকা না পেয়ে জোর করে মেয়েকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করায়। হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করায়, তাতে রিনা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাপের বাড়ির লোকেরা অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে আসতে চাইলে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তাতে রাজি হয়নি। এমনকি মাহাতের কাছে ঝাঁড়ফুঁক করা হচ্ছে বলে জানায়। গর্ভপাতের বিষয়ে বাপের বাড়ির লোকেদের না জানানোর হুমকি দেওয়া হোত ওই গৃহবধূকে। পরে মেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বাপের বাড়ির লোকেরা একপ্রকার জোর করে তাকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করান। সেখানেই সিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
মৃতার স্বামী, শ্বশুর, ভাসুর সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় মৃতার বাপের বাড়ির তরফে। রবিবার দুপুরে মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।