আমাদের ভারত, মন্দারমণি, ২৯ জুন: মন্দারমণির সমুদ্র তটে ভেসে এল বিশালাকার একটি মরা তিমি মাছ। স্থানীয় মানুষজন সকালে বৃহৎ মরা তিমিটি দেখতে ভিড় জমিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তিমিটিকে সেয় হোয়েল প্রজাতির বলেই মনে করছেন মৎস্যজীবীরা।
খবর দেওয়া হয়েছে মৎস্য দপ্তর ও প্রশাসনের কাছে। এই মরা তিমি মাছটিকে কি সংরক্ষণ করা হবে, না একে সমুদ্রের পাড়েই বালি খুঁড়ে কবর দেওয়া হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর মাসে দিঘা মোহনা থেকে প্রায় ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে সমুদ্রের গভীর থেকে মৃত অবস্থায় ৪৫ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট চওড়া এবং ১৮ টন ওজনের একটি তিমি মাছকে মৎস্যজীবীরা এনেছিল সমুদ্রের পাড়ে।
প্রশান্ত মহাসাগরে থাকা এই তিমিটি কিন্তু সাধারণ ভাবে সমুদ্রের গভীরে বসবাস করে। তবে কোনওভাবে খাওয়ারের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে সেটি বঙ্গোপসাগরে চলে আসে। এরপর কোনও জাহাজের ধাক্কায় মাছটির মৃত্যু হতে পারে। এবং সেটি মৎস্যজীবীদের জালে এসে আটকে যায়।
মেরিন অ্যাকোরিয়াম এন্ড রিজিওনাল রিসার্চ সেন্টারের জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তৎকালীন অফিসার-ইন-চার্জ তথা গবেষক অনিল মহাপাত্র জানিয়েছিলেন, সেয় হোয়েল প্রজাতির এই তিমি মাছ অত্যন্ত বিরল। এই ধরণের তিমি উদ্ধারের ঘটনা আমাদের দেশের কাছে মূল্যবান সম্পদ। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রায় ১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সেই মৃত তিমিটির হাড়ের ওপরে জীবানু নাশক বিশেষ কেমিক্যালের রঙের প্রলেপ লাগানোর পর সেটিকে ২০১৭ সালের ১৩ জুন থেকে দিঘা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম সেন্টারে রাখা হয়েছে দর্শকদের জন্য।