আমাদের ভারত, ১৬ নভেম্বর: দিল্লিতে নৃশংস খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশ। সেখানেও লাভ জিহাদের অভিযোগ তুলেছেন নিহত শ্রদ্ধার বাবা। তার মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের লখনৌতে ঘটে গেল ভয়াবহ খুনের ঘটনা। লাগাতার ধর্মান্তকরণের পর বিয়ের জন্য কিশোরীকে চাপ দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। সেই প্রস্তাব অস্বীকার করায় কিশোরীকে চারতলার উপর থেকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ সুফিয়ান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। লখনৌর দুবগ্গা কলোনিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ঘটনার পরে ১৮ বছর বয়সী ওই মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কিশোরীর মায়ের বয়ানের ভিত্তিতে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয় সুফিয়ান নামে ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ধর্মান্তকরণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগ, সুফিয়ান নামে ওই যুবক ১৮ বছর বয়সী কিশোরীকে নানাভাবে জ্বালাতন করতো। ধর্মান্তকরণ করা ও জোর করে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই যুবকের বিরুদ্ধে।
কিশোরীর মা জানান, এই সমস্যার সমাধানের জন্য মঙ্গলবার তিনি তার ভাইকে সাহায্যের জন্য ডাকেন। এরপর তারা সুফিয়ানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যান। তখনই সুফিয়ান বাড়ি থেকে বেরিয়ে গালিগালাজ শুরু করে। কিশোরীর মামার বাইকে আগুন ধরিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয় ও কিশোরীর পেছনে ধাওয়া করে। সেই সময় কিশোরী ছুটতে শুরু করে। সুফিয়ান তাকে তাড়া করে একটি নির্মীয়মান বাড়িতে নিয়ে যায়। কিশোরী তার তাড়া খেয়ে চারতলায় উঠলে সেখান থেকে সুফিয়ান তাকে ঠেলে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। এরপর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় সুফিয়ান।
কিশোরীর মৃত্যুর খবর পৌঁছাতে সুফিয়ানের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু করে উত্তেজিত জনতা। ওই কিশোরীর দিদির দাবি, সুফিয়ান দীর্ঘদিন ধরে তার বোনকে বিরক্ত করতো। বোনকে মামার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বছর খানেক আগে ফিরে আসার পর ফের তার বোনকে বিরক্ত করতে শুরু করেছিল সুফিয়ান।