কমিউনিটি কিচেন করে স্থানীয় দুঃস্থদের আহার যোগাচ্ছেন পুরুলিয়ার গৌরব, রাহুল, রকিরা

সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ৩ জুন: বিশ্ব মহামারি কোভিড ১৯ এর প্রভাব পড়েছে সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে।  সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের উপর। কর্মহারা উপার্জন শূন্য ওই পরিবারগুলিতে সরকারিভাবে চাল দেওয়া হলেও অর্থাভাবে রান্নার আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কেনার সামর্থ্য হয়ে ওঠেনি ওই পরিবারগুলির। শুধু চাল সেদ্ধ করে কতদিন চলবে তাঁদের? চাপা থাকা প্রশ্নটা ওই পরিবারগুলির হলেও তাঁরা অব্যক্তই রয়েছেন।

পুরুলিয়া শহরের সেই সব মানুষের খাবার তৈরি করে টানা এক মাস ধরে পরিষেবা দিয়ে চলেছেন পুরুলিয়া পুর এলাকার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু যুবক। ওই এলাকার শুধু নয়, কাছাকাছি থাকা ডোমপাড়া, চুনাভাটি, সিন্দার পট্টি এবং সংলগ্ন বস্তি এলাকার প্রান্তিক মানুষগুলোকে দুপুরের খাবার তুলে দিচ্ছেন ওই যুবকরা। এলাকার ভবঘুরে ভিক্ষা বৃত্তি করা প্রান্তিক মানুষগুলোও দুপুরের আহার সারেন ওই কমিউনিটি কিচেনের মাধ্যমে।

স্থানীয় উদ্যোগী গৌরব, রাহুল, রকি এরকম ১০-১২ জন যুবক কিছু শুভানুধ্যায়ীদের সাহায্য নিয়ে তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনের শুরু থেকে এই পরিষেবা দিয়ে আসছেন। ডাল, ভাত, তরকারির সঙ্গে কোনও দিন ডিম বা মাংস দুপুরের পদ হিসেবে থাকে। বিশেষ দিনগুলিতে নিরামিষ রান্না করা হয়। এই আহার ৫০০ থেকে ৫৫০ জন প্রতিদিন করে আসছেন। বাড়ি থেকে আনা থালা-বাটি টিফিন বক্সে রাত্রের খাবারও দেওয়া হয় ওই পরিবারগুলোকে। সকাল থেকে চলে রান্নার প্রস্তুতি দুপুরের পর পরিষেবা দিয়ে পরিচিত হন ওই যুবকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *