
স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত,নদীয়া, ১৮ এপ্রিল:
পারিবারিক অশান্তির জেরে এক নার্সকে তাঁর স্বামী গুলি করে খুন করল বলে অভিযোগ। ঘটনাটি নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের।
জানা যায়, ১২ বছর আগে জয়দেব বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল স্বপ্না বিশ্বাসের। বিয়ের পর থেকেই কারণে-অকারণে স্বামী জয়দেব বিশ্বাস স্ত্রী স্বপ্না বিশ্বাসকে মারধর করতো বলে অভিযোগ। তাদের একটি দশ বছরের পুত্র সন্তানও আছে। কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন স্বপ্না বিশ্বাস। জয়দেব বিশ্বাস কোনও কাজকর্ম করতেন না। বউয়ের পয়সাতেই চলত তার ঠাঁটবাট। আর সেই বউকে ধরেই মারধর করতো জয়দেব ।
হাসপাতাল থেকে একটু দেরি করে বাড়িতে ঢুকলেই চলত স্বপ্নার উপর অকথ্য অত্যাচার, গালিগালাজ, মারধর। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে স্বপ্না সবকিছুই মুখ বুজে সহ্য করত। বুধবার রাতে স্বপ্নার সাথে কথা কাটাকাটি হতে হতে জয়দেব তাঁকে গুলি করে। গুলির আওয়াজে এলাকার লোক জড়ো হওয়ার আগেই সে পালিয়ে যায়।
প্রথমে স্বপ্নাকে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ জয়দেব বিশ্বাসের নিশ্চয়ই কোনও দুষ্কৃতী দলের সঙ্গে যোগ আছে। না হলে আগ্নেয়াস্ত্র পেল কিভাবে? আমরা চাই যেখান থেকে বন্দুকটা জয়দেব নিয়ে এসছে সেই দলটাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করুক। । দুষ্কৃতীরা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা চাই দোষীদের যেন কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি হয়।