আমাদের ভারত, ২৮ সেপ্টেম্বর: দফায় দফায় তল্লাশি, গ্রেফতার চলছিলই। এবার পি এফ আই-কে (পপুলার ফ্রন্ট অফ ইণ্ডিয়া) নিয়ে কঠোর অবস্থান নিল কেন্দ্র। পাঁচ বছরের জন্য দেশে নিষিদ্ধ হল পি এফ আই(PFI)। বুধবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাদের সহযোগী এবং শাখা সংগঠনগুলিকেও। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন ইউ এ পি এ-তে ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই আইনের ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দেশে নিষিদ্ধ ৪২টি জঙ্গি সংগঠনের অন্তর্ভুক্তও করা হয়েছে পি এফ আই-কে। বুধবার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে নেটনাগরিকদের একটা বড় অংশ।
সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়ায় অরিজিৎ মুখার্জি লিখেছেন, “পি এফ আইয়ের হয়ে যারা সাফাই মারছে, এরা সব দিনে তৃণমূল রাতে পি এফ আই আর অন্তরে দেশ বিরোধী জঙ্গি।“ চম্পক মণ্ডল লিখেছেন, “স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া( SIMI), জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ এবং ইসলামিক স্টেট অফ ইন্ডিয়া অ্যান্ড সিরিয়া-র সঙ্গে পি এফ আই-এর সংযোগ ছিল।”
বিদ্যা বর্মণ লিখেছেন, “মানুষের সেবা করে পি এফ আই-কে সেরকম কোনো কাজ করতে দেখিনি।“ দেবদালি ঘোষ লিখেছেন, “দেশ আজ সঠিক পথে পরিচালিত হচ্ছে।” মহাপ্রসাদ সিনহারায় লিখেছেন, “পাঁচ বছরের জন্য কেন, চিরকালের জন্য নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল।” বিশ্বজিৎ মাইতি লিখেছেন, “এবার সরকারের উচিৎ এদের যে দেড় লক্ষ প্রশিক্ষিত ক্যাডার আছে তাদের খুঁজে এনকাউন্টার করা”।
বিশ্বজিৎ মণ্ডল লিখেছেন, “বিরাট সিদ্ধান্ত, জনগণের মঙ্গল।“ সুজিত দাস লিখেছেন, “দেশ বিরোধীদের শক্ত হাতে দমন করা আবশ্যক।” কমল সামন্ত লিখেছেন, “সিদ্ধান্ত নিতে এত দেরি হলো। সরকারের আঠারো মাসে এক বছর। চিরতরে নিষিদ্ধ করা দরকার ছিল।“ অরিত্র কর্মকার লিখেছেন, “শুধু ৫ বছরের জন্য কেন?“ বাপি চ্যাটার্জি লিখেছেন, “দেশবিরোধী যতো জঙ্গি সংগঠন আছে সব কটাকে নিষিদ্ধ করুন।” সুনীল শর্মা লিখেছেন, “একেবারে চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।” কাঞ্চন ঘোষ লিখেছেন, “খুব ভালো সিদ্ধান্ত।” প্রিয়ঙ্কা ঘোষাল লিখেছেন, “আহা এত সুন্দর খবরটা শুনে মনটা একেবারে খুশি হয়ে গেল।“
অন্যদিকে, গৌতম বিশ্বাস কটাক্ষ করে লিখেছেন, ”এটা ভারি অন্যায় কোথায় আমরা একে একে পি এফ আইয়ের হাত ধরে শান্তির ধর্মের পথে এগিয়ে যাবো হঠাৎ পথে ব্যারিকেড দিয়ে দিলো নাহ একটা বৃহৎ আন্দোলনে নামতে হবে।“