স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ২২ সেপ্টেম্বর: লকডাউনে বাংলাদেশে আটকে অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে হেমতাবাদের বাড়িতে ফেরাতে বিভিন্ন দপ্তরে ছুটে চলেছে ছেলে। লকডাউনের কারণে গত সাত মাস ধরে বাংলাদেশে আটকে রয়েছেন হেমতাবাদের আমবাগানের বাসিন্দা সন্ধ্যা রানী শীল। বৃদ্ধা মাকে বাংলাদেশ থেকে হেমতাবাদের বাড়িতে ফেরাতে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও কাজ না হওয়ায় অসহায়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ছেলে সন্তোষ শীল। সরকারের কাছে কাতর আর্তি তাঁর অসুস্থ মাকে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার।
হেমতাবাদের আমবাগান এলাকার বাসিন্দা সন্ধ্যা রানী শীল গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে পাসপোর্ট করে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার দক্ষিন কোতোয়ালী থানার মুরাদপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। এরপর করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশেই আটকে রয়েছেন অসুস্থ বৃদ্ধা সন্ধ্যাদেবী। শরীর ভালো না থাকায় হেমতাবাদে ফিরিয়ে আনার জন্যে ফোন করে ছেলের কাছে কান্নাকাটি করছে অসহায় ওই বৃদ্ধা। ছেলে সন্তোষ শীল হেমতাবাদের একটি সেলুনের দোকানে কাজ করে সংসার চালান। বেশ কয়েকদিন দোকান বন্ধ রেখে বিভিন্ন দফতরে ছুটেও অসুস্থ মাকে দেশে ফেরাতে পারছেন না সন্তোষবাবু।
তিনি বলেন, মার্চ মাসে মা পাসপোর্ট করে বাংলাদেশে আত্মীয়র বাড়ি গিয়েছিল। লকডাউন শুরু হওয়ায় আর আসতে পারছে না। কয়েকমাস ধরে মায়ের শরীর ভালো নেই। ফোন করে বাড়ি ফেরার জন্য কান্নাকাটি করছে। কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। মাকে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন সন্তোষ। হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, আমবাগান এলাকার ওই বৃদ্ধা বাংলাদেশে আটকে রয়েছেন সেই কথা জানি। তার ছেলেকে একটি লিখিত আবেদন দিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতকে বিষয়টি জানাতে বলেছি। আমরা জেলা প্রশাসনকে এই সমস্যার কথা জানাবো।