আমাদের ভারত, ২২ নভেম্বর: দেশের তাবড় বিজ্ঞানীরা খুঁটিয়ে দেখে ঠিক করে দিলেন ২০২৪ সালে রাম নবমীর দিন অযোধ্যায় নবনির্মিত রাম মন্দিরে কিভাবে প্রথম সূর্যরশ্মি রামলালার মাথায় এসে পড়বে। আর এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে তর্জা।
সিএসআইআরের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, ২০১৪ সালের রামনবমীর দিন অযোধ্যায় নবনির্মিত রাম মন্দিরে কীভাবে প্রথম সূর্যরশ্মি রামলালার মাথায় এসে পড়বে তা বিশ্লেষণ করছেন তারা। কাউন্সিল জানিয়েছে, মন্দির কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি হাতে-কলমে বুঝিয়ে দিয়ে এসেছে। সিএসআইআর ও সিবিআরআই এর বিজ্ঞানী দল এই কাজটি অত্যন্ত সুচারুভাবে ভাবে করেছে।
সিএসআইআরএফের এই পোস্টটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরকে ট্যাগ করা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, এসআইআর সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রো কেমিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ডিরেক্টর সহ আরো অনেক নাম। এই সংবাদ মাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে মন্দিরে ট্রাস্টিদের সঙ্গে কথা বলছে বিজ্ঞানী দল। ২০২৪ সালের রামনবমীর দিন প্রথম সূর্যরশ্মি রামলালার মাথায় এসে পড়বে সে বিষয়টি বুঝিয়ে ব্যাখ্যা করে দিচ্ছেন তারা।
এটি একটি সাহিত্য শাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৪২ সালে স্থাপন করা হয়েছিল। বিভিন্ন বিজ্ঞান গবেষণা উন্নয়ন যেমন অ্যারো স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সমুদ্র বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য চর্চা, মেটাল, ম্যাটারোলজি, রসায়ন, খনি বিদ্যা, খাদ্য পেট্রোলিয়াম পরিবেশ বিজ্ঞানের মতো বিষয় নিয়ে এরা কাজ করে। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্ত। অতীতের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য গবেষণা হয়েছে এই সংস্থার অধীনে।
কিন্তু কাউন্সিলের এই টুইট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মহুয়া মৈত্র টুইট করে প্রশ্ন তুলেছেন, “জনগণের অর্থে চলা প্রতিষ্ঠান গুলির মধ্যে অন্যতম সিএসআইআর। আমাদের করের টাকা এভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”