মগরায় রহস্য জনক ভাবে প্রাণ গেল কিশোরের, পুলিশ ও জনতার খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত এলাকা

আমাদের ভারত, হুগলি, ২৮ নভেম্বর: কিশোরের রহস্য মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মগরা থানার কৃষ্ণদাস কলোনী এলাকায়। মৃত ওই কিশোরের নাম সুজয় শীল (১৭)। বাড়ি মগরা থানার কৃষ্ণদাস কলোনী এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন নিখোঁজ ছিল সুজয় শীল। এই ঘটনায় তার পরিবারের লোকজন মগরা থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করেন। রবিবার গভীর রাতে মগরা স্টেশন সংলগ্ন রেললাইন এলাকা থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে ব্যান্ডেল জিআরপি। সোমবার চুঁচুড়ার ইমামবাড়া সদর হাসপাতালের মর্গে মৃতের দেহ শনাক্ত করে তার পরিবারের লোকজন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ওই কিশোরের সঙ্গে ওই এলাকারই এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কে টানাপোড়েন ও প্রেমে বাধার কারণেই কিশোরকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
এদিন সকালে মৃতদেহ শনাক্ত করার পরই প্রেমিকার বাড়িতে চড়াও হয় নাবালকের পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রেমিকা ও তার কাকার বাড়িতে চলে ব্যাপক ভাঙ্গচুর ও মারধর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মগরা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখানে গিয়ে পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়ে। শুরু হয় পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইট বৃষ্টি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন বলে খবর মিলেছে। আহতদের মগরা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেলা পর্যন্ত ওই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। ঘটনার পর থেকেই বিশাল পুলিশ বাহিনী ওই এলাকায় টহলদারি চালিয়েছে বলে খবর।

মৃতের মা কাজলরানি শীল জানিয়েছেন, ১৫ দিন ধরে তার ছেলে নিখোঁজ। তারা থানায় ডায়েরিও করেছেন। স্থানীয় একটি মেয়ের সঙ্গে তার ছেলের দু’বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। একমাস আগে ছেলে তাঁর প্রেমিকাকে মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছিল। কিন্তু মেয়েটির পরিবার তাদের এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। মেয়ের বাবা আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছিল, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ছেলেকে আর খুঁজে পাবে না। আমার ছেলেকে খুন করে রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মিসিং ডাইরি ছাড়া এই ঘটনায় থানায় পাল্টা কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। কেউ গ্রেফতারও হয়নি। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *