বড়দিনের আশায় পুরুলিয়ার বেকারিগুলি তৈরি করছে রকমারি কেক পেস্ট্রি

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৩ ডিসেম্বর: করোনা আবহে বেকারি শিল্পেও প্রভাব পড়েছে। তবুও বড়দিনের আশায় রকমারি কেক পেস্ট্রি প্রস্তুত করছে পুরুলিয়ার বেকারিগুলি। টানা লকডাউন। রুজি রুটিতে পড়েছে টান। এই কারণে পুরুলিয়া জেলার সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা তলানীতে ঠেকেছে। তবুও খানিকটা ঝুঁকি নিয়ে বড় দিনে উৎসবের আমেজ ধরে রাখতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বেকারিগুলি।

আর মাত্র কটা দিন পর বড়দিন। মূলত খ্রিস্টানদের উৎসব হলেও বড়দিন এখন ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের সব স্তরে। বড়দিন মানেই রকমারি কেক। কেক তৈরিতে এখন নামি দামী ব্র্যান্ডগুলির সঙ্গে রীতিমত পাল্লা দিচ্ছে পুরুলিয়ার কেক প্রস্তুতকারকরাও। এই সময় বেশ কিছু মানুষ কেক বাড়িতে তৈরি করলেও বেশিরভাগ মানুষই বাজার থেকে কেক কিনে নেন। বছরের এই একটা সময় বাজারে পাওয়া যায় রকমারি কেক। ফ্রুট কেক, পেস্ট্রি কেক, এগলেস কেক। হরেক রকমের কেক তৈরি করতে এখন ব্যস্ত পুরুলিয়ার বেকারিগুলি। বাস্তবে এই মাসের গোড়া থেকেই শুরু হয়েছে এই প্রস্তুতি। এখন তা একেবারেই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।

পুরুলিয়ার শহরের তেলকল পাড়ায় অবস্থিত একটি নামকরা বেকারিতে দেখা গেল প্রায় ষাট জন কর্মী ও মিস্ত্রী রকমারি কেক তৈরিতে ব্যস্ত। কেক তৈরির নানা প্রক্রিয়া চোখে পড়ল। পুরুলিয়া জেলার সব শ্রেণির মানুষ যাতে বড়দিনের মজা নিতে পারেন তাই, ওই বেকারি এবার অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বেকারি মালিক সৌরভ দত্ত বললেন, ‘এই শিল্পে কাঁচা মালের দাম প্রতি বছরের মতো এবারেও বেড়েছে। বেড়েছে মজুরির হার এবং অন্যান্য খরচ। তবুও লাভের অংশ কম করে  ড়দিনের উপহার হিসেবে কেকের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে গুণগত মান রেখেই কেক তৈরি করা হচ্ছে।’  

বেকারি মালিক রামনাথ দত্তর বলেন, “এবার বাজার এখনও চাঙ্গা হয়নি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গিয়েছে। এই অবস্থায় অন্যান্য ক্ষেত্রের সঙ্গে বেকারি শিল্পেরও বাজার মন্দা। আশা করছি বড় দিনের উৎসবে বিক্রি বাড়বে।”

কেক ও পেস্ট্রির মধ্যে সুইস রোল, ম্যাঙ্গো রোল, হোয়াইট রোল, চকোলেট রোল প্রভৃতি। রয়েছে ফ্রুট কেক, স্পেশাল কেকও। এই সবই তৈরি হচ্ছে পুরুলিয়ায়। স্থানীয়দের কথায়, গুণমান ও স্বাদে এই কেক কোনও অংশেই কম যায় না নামি দামী ব্র্যান্ডগুলি থেকে। 

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here