
স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ২ জুন:
আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বাড়ি তৈরি করার কাজ ছিল সরকারের। সেই কাজের ক্ষতিপূরণের খতিয়ান হয়তো এখনো সরকার তৈরি করে উঠতে পারেনি। হয়তো ঘর দেওয়া হবে, কিন্তু তার আগেই নদিয়ার বগুলার তরুণ ছাত্র ছাত্রীরা এগিয়ে এল এলাকার দুঃস্থদের ঘরবাড়ি তৈরি করতে।
আমফানে যেসব দুর্গতদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গেছিল তাদের সাহায্য করল নদিয়ার বগুলার একদল মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী। এরা প্রায় একশো কুড়ি জন ছাত্র-ছাত্রী মিলে ২০১৮ সালে ইউথ ফোর্থ নামে একটা সংগঠন তৈরি করে। সেই সংগঠনের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কেউ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, কেউ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে, কেউ আবার চাকদাহ, বগুলা কলেজে পড়াশোনা করে। আর এই ইউথ ফোর্থের সদস্যরাই যাদের আমফানের ঝরে ঘর ভেঙ্গে গেছে এইরকম প্রকৃত দুঃস্থদের চিহ্নিত করে ৭ টা ঘর তারা বানিয়ে দিয়েছে।
বগুলা কৃষি প্রধান অঞ্চল। আশেপাশে প্রচুর গ্রাম রয়েছে। সেই সমস্ত জায়গায় এরা মাঝেমধ্যেই নিজেদের পকেটের খরচা বাঁচিয়ে রান্না করা খাবার দুঃস্থদের মধ্যে তুলে দিচ্ছে। এছাড়া এই করোনা আতঙ্কে প্রচুর দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রী প্রাইভেট টিউশন নিতে পারছে না। সেকারণে সংগঠনের পক্ষ থেকে ৭০ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে খাতা, পেন, পেন্সিল এবং এদের নিজস্ব কোচিং সেন্টারে পড়াবার ব্যবস্থা করছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের ছাত্র সভাপতি তন্ময় রায় জানান, করোনায় লকডাউনের জেরে প্রচুর মানুষ কাজ হারিয়েছেন এবং তাতে আমাদের এলাকার প্রচুর ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশুনো প্রায় বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। সেই জন্য আমরা দুঃস্থ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্যের কথা ভেবে তাদের কোচিং করাবো। সে চাকরির পরীক্ষা থেকে আরম্ভ করে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত। এছাড়া পকেট খরচ বাঁচিয়ে মানুষকে রান্না করা খাবার, এবং এখন পর্য্যন্ত ৪২৫টা পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে পেরেছি লক ডাউনের মধ্যে। আমাদের সংগঠনের নাম নেতাজি ইউথ ফোর্থ। যুব সমাজকে নেতাজির ভাবাদর্শে পরিচালনা করার জন্যই আমরা এই ধরনের কাজ করছি। এটা সম্পূর্ণ একটা অরাজনৈতিক সংগঠন। আমরা দুঃস্থ মানুষের জন্য কাজ করি।
Netaji Youth Force darun kaj korche avabei aro onk manuser pass darate pare Jani sei asa rakhi