‘বিজেপি ক্ষমা চাও’, ব্যতিক্রমী ভাবে মমতার পাশে দাঁড়িয়ে অনুপমকে তীব্র আক্রমণ অধীরের

রাজেন রায়, কলকাতা, ২৯ সেপ্টেম্বর: রাজনৈতিক মতাদর্শ গত বিভেদ থাকতে পারে, কিন্তু রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান’কে কুকথার আক্রমণ করলে বিরোধী দল হয়েও তিনি যে পাশে দাঁড়াবেন, তা এদিন বুঝিয়ে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কঠোর সমালোচক। কিন্তু বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কিত মন্তব্য ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকলেন অধীর। ‘বিজেপি ক্ষমা চাও, বাংলায় এসব চলবে না’ বলে ট্যুইটে তীব্র আক্রমণ হেনেছেন তিনি।

অধীর চৌধুরী এ দিনের টুইটে বলেছেন,‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আমার হাজারো অভিযোগ আছে ও থাকবে। অভিযোগ ব্যক্ত করার অধিকার আমার আছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করার কোনও অধিকার নেই। একজন মহিলার প্রতি বিজেপি নেতার অশালীন মন্তব্য বাংলার তথা ভারতীয় সংস্কৃতির অপমান বলে মনে করি। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ একদিন দিদিকে দেবী বলতেন, তাঁর দয়াতে সাংসদ হয়েছিলেন। বিজেপি পার্টি ক্ষমা চাও। বাংলায় এসব চলবে না।’

বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদকের পদে বসে গত রবিবার বারুইপুরে দলীয় সভায় যোগ দিয়েছিলেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা। সেই সভায় কোভিড বিধি ভঙ্গ করেই বাড়তি জমায়েত হয়েছিল বলে অভিযোগ। সমর্থকদের অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। এই সভায় অনুপম হাজরাকে করোনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি একটি বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। বলেন, ”করোনা হলে প্রথমেই মমতাকে জড়িত ধরব।” তাঁর এই মন্তব্যে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠতে না উঠতেই শিলিগুড়ি থানায় অনুপমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে তৃণমূল উদ্বাস্তু সেল। এ নিয়েও পালটা মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন বিজেপির নতুন কেন্দ্রীয় সম্পাদক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *