জে মাহাতো, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৮ মে: হলদিয়ায় শ্রমিক সমাবেশে এসে বোমা ফাটালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শিল্পের অভিমুখ বোঝাতেই ছিল শনিবারের এই সমাবেশ। সেখান থেকে সরাসরি দলের বিভীষণদের নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক৷ তিনি বলেন, “শুক্রবার হলদিয়ায় প্রকৃত স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। এই প্রথম দলীয় কর্মীরা বলেছেন, নেতারা শুনেছে। কাল প্রায় ৫০ জন কর্মী বক্তব্য রেখেছেন। সবকথা আমার কাছে এসে পৌঁছেছে। কারা আগের দিন বিএমএসের ঝাণ্ডা তুলেছে, আর পরের দিন তৃণমূলে এসেছে, তার তালিকা আমার কাছে আছে। আমি তাদের চিহ্নিত করেছি। সভায় আসার পথেও আমি ৪-৫ জনকে চিহ্নিত করেছি। দলের বিভীষণদের আমরা চিহ্নিত করেছি।”
একই সঙ্গে নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ শানিয়ে অভিষেক বলেন, “তার নেতৃত্বে উত্তর কলকাতায় গুণ্ডামি করে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গা হল। এই জেলার একসময়ের সর্বেসর্বা নিজেকে ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচাতে দলবদল করল। দিল্লির বুকে মেদিনীপুরের আবেগকে বিক্রি করল। আমার পিছনে তো ইডি-সিবিআই লেলিয়ে দিয়েছে। আমার মাথা নিচু করতে পেরেছে?” শুভেন্দু অনুগামীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “অনুগামী এক্সচেঞ্জ খুলে বসেছিল কেউ কেউ। তারা এখন হালে পানি পাচ্ছে না৷”
একই সঙ্গে কর্মীদের উদ্দেশ্যে অভিষেকের হুঁশিয়ারি, “কর্মসংস্থানে স্থানীয় বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তৃণমূল করলে ঠিকাদারি করা যাবে না। আর ঠিকাদারি করলে তৃণমূল করা যাবে না। বুকে দলীয় পতাকা নিয়ে দলটা করতে হবে। আর যারা শ্রমিক সংগঠন করছেন, তাদের একটাই পরিচয় খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি। এই দাদার অনুগামী, ওই দাদার অনুগামী বলা চলবে না। দলে একটাই দিদি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”