রক্তের সম্পর্কের দুর্বলতাকে ব্যবহার করে দলকে ধ্বংস করছেন যুব তৃণমূল সভাপতি: শোভন চট্টোপাধ্যায়

রাজেন রায়, কলকাতা, ২৪ জানুয়ারি: অভিষেকের চ্যালেঞ্জকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন শোভন। পাল্টা বললেন, তৃণমূল কংগ্রেসের হারের পথ খোদ যুব তৃণমূল সভাপতিই প্রশস্ত করছেন।

এ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, জেলার ৩১টি বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোনও একটা থেকে দাঁড়ালে তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেবেন। পাশাপাশি নারদকাণ্ড নিয়েও খোঁচা দেন তিনি। এই নিয়ে পাল্টা জবাবে শোভন বলেন, “নারদ মামলা নিয়ে তদন্ত চলছে। যেটা নিয়ে উনি প্রশ্ন তুলেছেন, সেই স্টিংয়ের সমস্ত অর্থ কিন্তু জুগিয়েছিল কেডি সিং। আর কেডি সিংয়ের থেকে কে কখন লাভবান হয়েছেন তা নিয়ে আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে।”

এরপরই পাল্টা শাসিয়ে শোভন বলেন, “সুতরাং কথা তোলার আগে আয়নার সামনে দাঁড়ান। উপরের দিকে থুতু ফেলে উনি নিজেই নিজের গা ময়লা করেছেন।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তাঁর আরও কটাক্ষ, “শুধুমাত্র রক্তের সম্পর্ক থেকে উনি আজ বাংলার সাংসদ হয়েছেন। যেদিন রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল, সেদিন উনি ৭২ ভোটে জিতেছিলেন। আর ৩ লক্ষ ভোটে উনি জিতেছেন নির্বাচনী কারচুপির মাধ্যমে। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত সব দখল করে নেওয়া হয়েছিল বিরোধীদের উপস্থিতি ছাড়াই। তার প্রতিবাদ আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে করেছিলাম। বলেছিলাম, এ জিনিস গণতন্ত্রে হতে পারে না। কারণ বিরোধীরাই গণতন্ত্রের আয়না। আমরা কিছু আসনে হারতাম, কিন্তু জেলা পরিষদ আমরা পেতাম। কিন্তু, যে কলঙ্কিত জেলা পরিষদ এখন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চলছে, তার সৃষ্টি কিন্তু এই সাংসদের হাত ধরেই।” প্রাক্তন মেয়রের কথায়, “উনি রক্তের সম্পর্কের দুর্বলতাকে ব্যবহার করে যেভাবে দলকে ধ্বংস করছেন, তার উত্তর কিন্তু আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পেতে হবে। আর তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে না।”

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here