অনলাইনে ভর্তির সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রতিবাদ এবিভিপি’র

আমাদের ভারত, ২৯ জুন: রাজ্যের সমস্ত কলেজে এই বছর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক সেন্ট্রালাইজড অনলাইন অ্যাডমিশন সিস্টেম চালু করার দাবি করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)।

বুধবার সংগঠনের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত রাজ্য সম্পাদক সঙ্গীত ভট্টাচার্য এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, “গতকাল সংবাদমাধ্যম থেকে আমরা জানতে পারি এই বছর প্রযুক্তিগত ব্যর্থতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক অনলাইন অ্যাডমিশন সিস্টেম সরকার চালু করতে পারছে না। যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং সেই সাথে সরকারের ছাত্র বিরোধী মনোভাবের প্রকাশ পায়।

বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি কোনো একজন ছাত্র ছাত্রী একটি নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার কারণে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন কলেজে আলাদা আলাদাভাবে ভর্তির ফর্ম ফিলাপ করে থাকেন। ভিন্ন ভিন্ন কলেজে শুধুমাত্র ভর্তির ফর্ম ফিলাপ করতে গিয়েই তাদের প্রতিবার আলাদা আলাদাভাবে টাকা-পয়সা জমা করতে হয়।

এই অব্যবস্থার ফলে কোনো একটি দুঃস্থ পরিবারের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীটিকে চরম অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সময় সেই দরিদ্র মেধাবী ছাত্র ছাত্রীটি কলেজের ভর্তির ফর্ম ফিলাপ করতে না পেরে মাঝ পথেই তাদের পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। এছাড়াও প্রতিবছর ভর্তি প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে যে লাখ লাখ টাকার দুর্নীতি, সিট বিক্রি, তোলাবাজি হয়ে থাকে তা তো আজ সর্বজনবিদিত।

গতকাল যেভাবে প্রযুক্তিগত ব্যর্থতার কারণ দেখিয়ে এই বছরও সেন্ট্রালাইজড অনলাইন অ্যাডমিশন সিস্টেম বন্ধ করার কথা সরকার পক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে তাতে আমরা মনে করি এই বছরও ভর্তি প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের টিএমসিপি’র তোলাবাজির সম্মুখীন হতে হবে। আবারও বঞ্চিত হবেন হাজার হাজার শিক্ষিত মেধাবী যোগ্যতাসম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীরা। কলঙ্কিত হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

তাই সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এবং দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে এবিভিপি’ই একমাত্র ছাত্র সংগঠন যে ২০১৪ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক সেন্ট্রালাইজড অনলাইন অ্যাডমিশন সিস্টেম চালু করার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই সিস্টেম যতদিন না চালু হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *