এবিভিপি’র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও অভিযান, উত্তেজনা কলেজ স্ট্রিটে

আমাদের ভারত, ৬ এপ্রিল: বৃহস্পতিবার কলকাতার রাজপথে নামে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। স্বামী বিবেকানন্দর বাড়ি থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিশাল মিছিল করে তারা। তাদের মূল দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্যের ব্যবস্থা করতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি অবিলম্বে চালু করতে হবে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে প্রভৃতি।

এদিন এবিভিপি রীতিমতো মিছিল করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। মিছিলে ছিলেন তাদের সর্বভারতীয় সম্পাদক বিরাজ বিশ্বাস। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছে গেটে তাদের সংগঠনের পতাকা টাঙাতে যায়। আর তখনই বড় বিপত্তি ঘটে। পুলিশের সঙ্গে এবিভিপির সদস্যদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পুলিশ ২৪ জন এবিভিপি সদস্যকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে থেকে আটক করে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। পুলিশ কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংগঠনের অন্যতম কর্তা সপ্তর্ষি সরকার এই প্রতিবেদককে জানান, “এ দিন সমাবেশে গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি ছিল আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পাদক বিরাজ বিশ্বাস ও রাজ্য সম্পাদক সঙ্গীত ভট্টাচার্যের।“ বিরাজ বিশ্বাস বলেন, “এই সরকার দেওলিয়া ভাবে চলছে। পুরো শিক্ষা দফতরটা জেলের ভিতর। একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসছে। দ্রুত স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ এবং নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করতে হবে। ”

এদিন স্লোগানে উত্তাল হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তৃণমূল ও এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এবিভিপি নেতৃত্ব। ‘পার্থ চোর’, ‘মানিক চোর’, ‘তৃণমূলের সবাই চোর’ স্লোগান ওঠে মিছিল থেকে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে তাঁরা সরব হন।

মিছিলকারীদের অভিযোগ ছিল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত দুর্নীতির আখড়া হয়ে গিয়েছে। গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাসা বেঁধেছে দুর্নীতির ঘুনপোকা। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। এবিভিপির রাজ্য সম্পাদক সঙ্গীত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা প্রশ্নের মুখে রয়েছেন। ইউজিসির নিয়মকে কাজে লাগানো হচ্ছে না। অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন। শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে। ঐতিহ্যবাহী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে দিনের পর দিন শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। পুলিশ বাধা দিলে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন চালিয়ে যাব।“

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *