
আমাদের ভারত, হাওড়া, ৫ মার্চ: ডোমজুর এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে তোলাবাজি। টাকা না দিলে আসছে হুমকি। নির্মাণ কর্মীদের মারধর করে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ভয়ে অনেকেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে পারছেন না।
ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হচ্ছে বহুতল ও ছোট বড় কারখানা। এসব কাজ করতে গেলে দিতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা। ডোমজুড় পাকুরিয়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে চলছে একটি কারখানার নির্মাণ কাজ। গত দু তারিখ এখানে বাইকে চেপে আসে দুষ্কৃতীরা। মারধর করে নির্মাণ কর্মীদের। একজনকে তুলে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল। মালিক যদি দেখা না করে তাহলে কাজ বন্ধ করে দেবার হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত কর্মীরা। অভিযোগ দায়ের করা হয় ডোমজুর থানায়।
একই দিনে সলপ এলাকায় এক ইট বালি সিমেন্ট বিক্রেতার ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। দোকানের সাটার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই ছবি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে।ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হাওড়ার এক দুষ্কৃতী কলকাতায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। সেখান থেকেই এই গ্যাংকে অপারেট করছে। ক্যামেরার সামনে পুলিশ আধিকারিকরা কিছু বলতে চায়নি এবিষয়ে। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়। ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করা হয়েছে। অপরাধ নগরী হাওড়াতে যাতে সমাজবিরোধীদের দাপট না বাড়ে তারজন্য তৈরি করা হয়েছে পুলিশ কমিশনারেট। সম্প্রতি ডোমজুর থানা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তাতে। কিন্তু যেভাবে এখানে তোলাবাজদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে তাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।