“অধিকারী পরিবার আর তৃণমূলের পাশে নেই, এটা খুবই দুঃখের”, কটাক্ষ অধীর চৌধুরীর

আমাদের ভারত, মুর্শিদাবাদ, ১৮ জানুয়ারি: যে অধিকারী পরিবারকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন করেছিল তারা আজকে তৃণমূলের পাশে নেই। এটা খুব দুঃখজনক বলে মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সোমবার বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি একথা বলেন।

অধীর চৌধুরী বলেন, অধিকারী পরিবারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ইতিমধ্যেই বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। অধিকারী পরিবার নন্দীগ্রামের সেনাপতি হিসেবে কাজ করেছে। সেই অধিকারী পরিবারের প্রয়োজন ফুরিয়েছে বলে মনে করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনি একাই চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অধিকারী পরিবারের দৌলতে নন্দীগ্রাম পরিচিত হয়েছিল। তাদের দৌলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকৃতি পেয়েছিল। অধিকারী পরিবারকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন করেছিল। তারাই আজকে মমতা ব্যানার্জির সাথে নেই, এটা খুব দুঃখজনক বলে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলাতে তৃণমূল সার্কাস দলে পরিণত হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোটের আসন নিয়ে কথাবার্তা চলছে। যদিও বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোট নির্বাচনী প্রচারে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবে।

তৃণমূল বিধায়কদের ভ্যাকসিন নেওয়া প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যারা বিধায়ক হন তারা মানুষের স্বার্থে আগে নেতাদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেন, করোনা ভ্যাকসিন স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য প্রথম দফায় দেওয়া হলেও তৃণমূল বিধায়ক ও নেতারা আগে নিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতিতে সাধারণ মানুষের অগ্রাধিকার নেই, নেতাদের অগ্রাধিকার আছে বলেও মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী।

তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলাতে কংগ্রেস ও বামেদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেয়নি শাসক দল। সেই সময় এখানে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে হত্যা করা হয়েছিল, নির্বাচনের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। কুড়ি হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছিল তৃণমূল।

দিল্লি সীমান্তে চলা কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে বলতে গিয়ে অধীরবাবু বলেন, দেশের কৃষক আন্দোলনের মূল দাবি কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। কৃষক আন্দোলনের যারা প্রবক্তা তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবে না, দেশের কৃষক সমাজকে খুশি করলে খুশি হব বলে জানান তিনি।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here