“শ্রদ্ধার ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব, আমি তোর ৭০ টুকরো করব,” জোর করে ধর্ম বদল করিয়ে লিভ ইন সঙ্গীকে হুমকি আরশাদের

আমাদের ভারত, ৩ ডিসেম্বর: দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনায় সারাদেশ উত্তাল হয়েছে। লিভ ইন পার্টনারকে খুন করে ৩৫ টুকরো করেছিল তার প্রেমিক আফতাব।পুলিশ এখনো শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডু খুঁজে বেড়াচ্ছে। পরীক্ষা হচ্ছে আফতাবের। এরই মাঝে দিল্লির শ্রদ্ধা কান্ডের ছায়া মহারাষ্ট্রে। আরশাদ নামে এক ব্যক্তি তার লিভ ইন পার্টনারকে খুন করার হুমকি দিয়ে বলছেন শ্রদ্ধার মত তারও ভয়ানক পরিণতি হবে। তিনি ৩৫ নয় ৭০ টুকরো করবেন। আরশাদের বিরুদ্ধে জোর করে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলার এক মহিলা অভিযোগ করেন তার লিভ ইন সঙ্গি আরশাদ সালিম মালিক তাকে হুমকি দিয়েছে যদি সে তার কথা না শোনে তাহলে শ্রদ্ধার মত তার পরিণতি হবে। আফতাব যেমন শ্রদ্ধাকে ৩৫ টুকরো করেছিল তেমনি তাকে ৭০ টুকরো করবে সে। গত ২৯ শে নভেম্বর ওই যুবতী থানায় লিভ ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

তার অভিযোগ তার প্রেমিক তাকে দীর্ঘদিন ধরে হেনস্থা করছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ওই মুফতি। সম্প্রতি বাগ বিতান্ডার পর আরশাদ হুমকি দেয় যে, সে কথার অবাধ্য হলে তার পরিণতি শ্রদ্ধার মতই হবে। তাকে কেটে ৭০ টুকরো করবে সে।

জানা গেছে, ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে আরশাদের সঙ্গে লিভ ইনে রয়েছে ওই যুবতী। ২০১৯ সালের পথ দুর্ঘটনায় তার স্বামী মারা গিয়েছিল। তাদের একটি সন্তান রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর হার্ষাল মালি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার আলাপ হয় ওই ব্যক্তি তাকে প্রথমে মিথ্যা বলে একটি গ্রামে নিয়ে যায়, সেখানে ধর্ষণ করে এবং গোটা ঘটনার ভিডিও করে রেখে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে। এরপর তাকে এক রকম জোর করেই লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে বাধ্য করে। পরে ২০২১ সালে জুলাই মাসে যখন তারা হলফনামা তৈরি করে তখন যুবতী জানতে পারে ঐ ব্যক্তির নাম হার্ষাল মালি নয় আরশাদ সালেম মালিক। তারা ওসমানাবাদে বসবাস করতে শুরু করেন। ওই ব্যক্তি জোর করে ওই যুবতীকে ধর্ম বদল করতে বাধ্য করে বলেও অভিযোগ। অভিযুক্ত আরশাদ মালিকের বাবাও তাকে হেনস্থা করে। চার মাস আগে তাদের একটি সন্তান হয় কিন্তু তাতেও অত্যাচার কমেনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে অভিযোগকারী ওই যুবতীর শরীরে একাধিক পোড়ার দাগ রয়েছে। শ্রদ্ধা ওয়াকারের মত খুনের হুমকি দেওয়ায় সে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *