আমাদের ভারত, ৪ ডিসেম্বর: প্রথমদিকে প্রলোভন দেখিয়ে তারপর চাপ সৃষ্টি করে মেয়েকে ধর্ম বদলের উস্কানি দেওয়া হয়েছে এবং হেনস্থা করা হচ্ছে বলে এক ব্যক্তির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এক মুসলিম যুবককে গ্রেপ্তার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যোগী রাজ্যের ধর্ম বদল বন্ধ করতে কড়া আইন চালু হয়েছে সম্প্রতি। তাতে জোর করে ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তর নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। এই আইনের আওতায় ওয়েইসি আহমেদ নামে এই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বলপূর্বক বা জালিয়াতি করে ধর্ম বদল বন্ধে উত্তরপ্রদেশ বেআইনি ধর্ম বদল নিষিদ্ধকরণ অর্ডিন্যান্স ২০২০ গত ২৮ নভেম্বর সই করে সম্মতি দিয়েছেন রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল। এই আইনে জোর করে কাউকে ধর্ম বদলে বাধ্য করার শাস্তি ১০ বছর কারাবাস ও সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানার কথা বলা রয়েছে।
নতুন আইন কার্যকরী হওয়ার পর এটাই প্রথম গ্রেপ্তারি বলে জানিয়েছে বরেলির ডেপুটি পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল রাজেশ কুমার পান্ডে। ওয়েইসি আহমেদ নামে ওই অভিযুক্তকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালত তাকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
গত ২৮ নভেম্বর বেরেলির দেওয়ারনিয়া থানায় এই মামলা দায়ের হয়। দেওয়ারনিয়ার শরিফ নগর গ্রামের বাসিন্দা টিকারামের অভিযোগে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। টিকারামের দাবি তারই গ্রামের বাসিন্দা আহমেদ তার মেয়েকে প্রলোভনের মাধ্যমে ধর্ম বদলানোর চেষ্টা করে। দ্বাদশ শ্রেণীতে তার মেয়ে ও আহমেদ একসাথে পড়াশোনা করতো। তিন বছর আগে থেকেই সে তার মেয়েকে ধর্ম বদল করে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করে। কিন্তু তার আহমেদকে প্রত্যাখ্যান করলেসে টিকারামের মেয়েকে অপহরণে হুমকিও দেয়।
এরপর জুন মাসে অন্য আরেকজনের সঙ্গে টিকারাম মেয়ের বিয়ে হয়। কিন্তু তারপরও আহমেদ তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হেনস্তা করতেই থাকে বলে অভিযোগ।
উত্তরপ্রদেশের নয়া আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র বিয়ের জন্য কোন মহিলার ধর্ম বদল করানো হয় তবে সেই বিয়ে বাতিল বলে গণ্য করা হবে। যারা বিয়ের পর ধর্ম বদলাতে ইচ্ছুক তাদের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সে জন্য আবেদন করে অনুমতি চাইতে হবে।