জে মাহাতো, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১৩ সেপ্টেম্বর:
গত লোকসভা নির্বাচনে আদিবাসী কুড়মি সমাজ আন্দোলন শুরু করেছিল এবং ওই সময় সমাজের একটা বড় অংশ রাজ্যের শাসক দলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় জঙ্গলমহলে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে তৃণমূল। কুড়মি সমাজের সেই আন্দোলন ফের শুরু হওয়ায় শাসক শিবিরে দুশ্চিন্তা আরও বাড়ছে।
এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে দলের একাংশ প্রাক্তন জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতোর উপর ভরসা রাখলেও জেলার বেশির ভাগ নেতাই তার অতীত ইতিহাস নিয়ে বিরোধীদের সরব হওয়ার বিষয়টিতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন। তারা মনে করছেন এই ছত্রধর মাহাতোর এক দশক আগের কার্যকলাপই বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী দলের প্রচারের মূল হাতিয়ার হয়ে উঠছে এবং ছত্রধরের বিগত দিনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রচারের সময় তাদের তা মুখ বুজে সহ্য করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে আদিবাসীদের সমাজ সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের মধ্যে রাজনীতি ঢুকিয়ে আদিবাসী সমাজকে বিভাজিত করারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে আদিবাসী সমাজের নেতা রবিন টুডুর তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার দিকে সমাজের পক্ষ থেকে আঙ্গুল তোলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি বিধানসভা দখলে রাখতে সক্রিয় হয়েছেন তৃণমূল দলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো। তিনি নিজের মত করে সংগঠন তৈরীর জন্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পর ছত্রধরের রাজনৈতিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে বাঁকুড়া জেলার মটগোদা সহ ঝাড়গ্রামের লালগড়, জামবনি ও সাঁকরাইলে। এই কর্মসূচির প্রতিটিতেই মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অথচ জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ছত্রধর মাহাতো লালগড়, ঝাড়গ্রাম সহ কয়েকটি এলাকায় অরাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা গেছে সেই সমস্ত কর্মসূচিতে হাতে গোনা কিছু মানুষ যোগ দিয়েছিলেন।