আমাদের ভারত, ১০ জুলাই: গালওয়ান নদীর উপত্যকায় আবার টহলদারি শুরু করতে চলেছে ভারতীয় সেনা বলে খবর। লাদাখের প্যাংগং লেকের আটটি ফিংগার এলাকাতেও টহলদারি শুরু করতে চলেছে ভারতীয় সেনা বলেও খবর পাওয়া গেছে।
গালওয়ানের চিন-ভারতের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকেই ভারতীয় সেনারা ওই এলাকায় টহলদারি বন্ধ করেছিল। চিনা সেনা পিছনে সরে যাওয়ায় এবার ভারতীয় সেনার আবার পেট্রোলিং চালু হতে পারে এলাকায় বলে খবর। এছাড়া প্যাংগং এলাকার প্রতিটি ফিঙ্গার পয়েন্টও ভারতীয় সেনা খতিয়ে দেখবে বলেও জানানো হয়েছে।
প্যাংগং লেকের আটটি ফিঙ্গার ভারতের অন্তর্গত বলেই নয়া দিল্লি স্পষ্ট করেছে বারবার। ভারত বলেছে এই আট ফিঙ্গার যেখানে শেষ হচ্ছে সেখানেই ভারত চিন সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা রয়েছে। যদিও চিন এই দাবির সঙ্গে একমত নয়। চিনের মতে ৪ নম্বর ফিংগার পর্যন্ত ভারতের এলাকা। বাকি চারটি ফিঙ্গার চিন সীমান্তের মধ্যেই রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে ৮ নম্বর ফিঙ্গারে টহল দিতে যাওয়ার ভারতীয় বাহিনীকে আটকায় চিনা সেনা। তখনও ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। তাতেও আহত হয়েছিল বেশ কয়েকজন।
তবে বর্তমানে গালওয়ান থেকে চিনা সেনা প্রত্যাহার সফলভাবে হওয়ায় প্যাংগং এলাকার ফিঙ্গার অঞ্চল থেকেও চিন সরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। উপগ্রহ চিত্র দেখা গেছে এই এলাকায় কমপক্ষে ১৮০টি তাবু খাটিয়ে বসে রয়েছে চিনা ফৌজ। সংখ্যায় কম হলেও কিছু চিনা তাবু ৪ নম্বর ফিঙ্গার থেকে সরে এসেছে। যদিও ৪ নম্বর ও ৮ নম্বর ফিঙ্গারের মাঝে রিজ লাইন এলাকা দখল করে রেখেছে লাল ফৌজ।
গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিন উভয় দেশের সেনাই দুই কিলোমিটার করে পিছিয়ে গেছে। তৈরি হয়েছে বাফার জোন। এখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। লাদাখে গিয়ে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী সীমান্তে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট করে দেন গালওয়ান ভারতের। তারপরই কিছুটা বরফ গলার ইঙ্গিত মেলে। দোভালের সঙ্গে আলোচনা হয় চিনা বিদেশমন্ত্রীর। এরপরই গালওয়ান থেকে চিনা সেনা পিছনে সরতে শুরু করে।