
আমাদের ভারত,৩ ফেব্রুয়ারি:আবার গুলি চলল দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে। রবিবার রাতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলছিল বিক্ষোভ। তখনই একটি স্কুটিতে চেপে দুই ব্যক্তি সেখানে হাজির হয়। এরপর শূন্যে গুলি চালিয়ে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।
গত দুমাস ধরে এই সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত রাজধানী দিল্লি। কিন্তু এই আন্দোলনে গুলি চালানোর সূত্রপাত হয় গত সপ্তাহ থেকে। পরপর চার দিনে এই নিয়ে তৃতীয়বার গুলি চলল এই আন্দোলনের সামনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়াদের নিয়ে গঠিত জামিয়া সমন্বয় কমিটির নেতৃত্বে রবিবার রাতে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ নম্বর গেটের কাছে সেই বিক্ষোভে পড়ুয়ারা ছাড়াও ছিলেন বহু মানুষ। রাত এগারোটার সময় লাল রঙের একটি স্কুটিতে চেপে সেখানে হাজির হয় দুই ব্যক্তি। স্কুটিতে বসে বেশ কয়েকবার শূন্যে গুলি চালায় তারা। গুলির শব্দ পেয়ে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। আর তখনই পালিয়ে যায় সেই দুষ্কৃতীরা।
ঘটনার সময় করা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ভিডিওতে হামলাকারীদের না দেখা গেলেও প্রাণ বাঁচাতে এদিকে সাধারণ মানুষ ছুটছে তা দেখা গেছে।
জামিয়া সমন্বয় কমিটির তরফ এই বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে হামলাকারীদের মধ্যে একজনের পরনে ছিল লাল রঙের জ্যাকেট। জামিয়া নগরের পুলিশ এই বিষয়ে এখনোও নিশ্চিত ভাবে কিছু জানায়নি। এমনকি হামলাকারীরা স্কুটিতে নাকি কোন গাড়িতে চড়ে এসেছিল তা নিয়েও দ্বিমত রয়েছে।বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন অ্যাডিশনাল ডিসিপি কুমার জ্ঞনেশ। তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তবে গুলির খোল জাতীয় কিছুই মেলেনি। কেউ কেউ বলছে দুষ্কৃতীরা এসছিল স্কুটিতে চেপে কেউবা বলছেন গাড়িতে চেপে। তবে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পড়ুয়াদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সংলগ্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
এর আগে গত সপ্তাহেতেই জামিয়ার বাইরে সিএএ বিরোধী মিছিলকে লক্ষ্য করে ১৭ বছরের এক কিশোর গুলি চালায় তাতে এক পড়ুয়া জখম হন। তার একদিন পরেই শনিবার পুলিশ ব্যারাকের সামনে দাঁড়িয়ে শাহিনবাগেও গুলি চালায় এক যুবক। এরপর রবিবার আবারো গুলি চালায় ঘটনার অভিযোগ উঠল জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে।